রাশিয়া একটি বিশাল দেশ, ভ্রমণের জন্য বেশ চমৎকার দেশটি। গ্লাসিয়ার কেপড পর্বতে ট্রাকিং থেকে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন লেকের তীরে ভ্রমণ পর্যন্ত রাশিয়া পর্যটকদের কাছে রোমাঞ্চের আরেক নাম। এরই সাথে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন নিদর্শন তো রয়েছেই। মস্কোর ক্রেমলিন হোক আর হোক মঙ্গোলিয়ায় ঘুরে বেড়ানো একবার রাশিয়া ভ্রমণ মনে থাকবে আজীবন। আসুন জেনে নিই, রাশিয়ার মূল আকর্ষণগুলো। আজ প্রথম পর্ব-
সেন্ট বাসিলস ক্যাথেড্রাল এবং লাল স্কয়ার
১৫৫৪ থেকে ১৫৬১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয়েছে এটি, অবস্থান মস্কোতে। সেন্ট বাসিলস ক্যাথেড্রাল রাশিয়ার পর্যটক আকর্ষণের শীর্ষে রয়েছে। ক্যাথেড্রালটির আভ্যন্তরীণ শিল্পকর্মই শুধু পর্যটকদের আকর্ষণ করে না, একই সাথে আকর্ষণ করে এর অনন্য স্থাপত্যশৈলী। গির্জার প্রতিটি গম্বুজের নকশা ভিন্ন। দিনে অবশ্যই ভ্রমন হবে মজার তবে রাতের সেন্ট বাসিলস এর রূপ একেবারেই ভিন্ন। তাই রাতের দৃশ্য মিস করবেন কোনমতেই। পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য নকশার গির্জা মনে করা হয় এটিকে।
বৈকাল হ্রদ
বোইকাল হ্রদের কথা শোনেন নি এবং যাবার ইচ্ছা পোষ্ণ করেন না এমন ভ্রমণকারী মেলা ভার। বেশীরভাগ পর্যটক ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলপথে ভ্রমণকালে অবশ্যই এখানে থামেন। বৈকাল পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর এবং পুরাতন লেক। বিশ্বের শুদ্ধ পানির ২০ শতাংশ ধারণ করে হ্রদটি। সাইবেরিয়ায় অবস্থিত লেকটির বয়স ২৫ মিলিয়ন বছর। পর্বতে ঘেরা অদ্ভুত সুন্দর লেকটিকে সাইবেরিয়ার মুক্তা বলা হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম স্বচ্ছ জলের লেকও বটে।
সুজডাল
রাশিয়ার সোনার আংটির হিরা যেন এই সুজডাল। প্রাচীন রাশিয়ার সংস্কৃতিকে জানতে অবশ্যই যেতে হবে সুজডালের যাদুঘরে। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, প্রাচীন গির্জা আর মঠের শহর এটি। রাশিয়া শহরটিকে এমনভাবে সংরক্ষণ করেছে যে এটি সহজেই আপনাকে নিয়ে যাবে হাজার বছর পেছনে আর চোখের সামনে তুলে ধরবে অতীতকে। পুরো শহরটি যেন একটি খোলা যাদুঘর।
মস্কো, ক্রেমলিন
মস্কোতে ভ্রমণ করলে ক্রেমলিনে তো যেতেই হবে! দেশটির সর্বোচ্চ সরকারি অফিসগুলোর অবস্থান এখানে। শহরটিতে দেখতে পাবেন ১৫ থেকে ১৬ শতকে নির্মিত ৪টি গির্জা এবং আরও বেশ কিছু যাদুঘর। আরও দেখতে পাবেন ২৫০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত অস্ত্রাগার। পুরো অস্ত্রাগারটি প্রাচীন রাজ সম্পদের ভান্ডার। এর আরেকটি বিশেষ আকর্ষন হল ডায়মন্ড ফান্ড এক্সিবিশন, অলংকারের চমৎকার একটি সংগ্রহ। এখানে ১৯০ ক্যারেটের একটি হীরা আছে যা দেওয়া হয়েছিল ক্যাথেরিন গ্রেটকে।
হার্মিটেজ যাদুঘর
১৭৬৪ সালে ক্যাথেরিন গ্রেট নির্মাণ করেন যাদুঘরটি। এর অবস্থান সেন্ট পিটারসবার্গে। বিশাল এই যাদুঘরটি শিল্প-সংস্কৃতির এক অনন্য সংগ্রহ। এর সংরহের সংখ্যা ৩ মিলিয়নেরও বেশী। ৬টি ঐতিহাসিক দালানে বিস্তার করছে এই সংগ্রহ। 'শীত প্রাসাদ'টি এদের অন্যতম যা একসময় ছিল রাশিয়ার সম্রাটের বাসভবন।


No comments:
Post a Comment