বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া বিশ্বভারতীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক বাংলাদেশী ছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দণ্ড পাওয়া ২৫ বছরের ওই ছাত্র বিশ্বভারতীতেই অধ্যয়ন করতেন, যার নাম মুহম্মদ সফিকুল ইসলাম।
আদালত নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মামলা শুরু হওয়ার দেড় বছরের মাথায় বৃহস্পতিবার এই রায় দিলেন সিউড়ি জেলা আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ মহানন্দ দাস।
নির্যাতিত ছাত্রীর অভিযোগ, নিজের দেশের সিনিয়র ছাত্র সফিকুলের কাছে পড়াশোনার ব্যাপারে জানতে গেলে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট তাকে জোর করে ধর্ষণ করে সফিকুল। এরপর মোবাইলের ক্যামেরায় অশ্লীল মুহূর্তের ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল করে সফিকুল তাকে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে গেছে বলে নির্যাতিতার অভিযোগ। সেই সময় নির্যাতিত ছাত্রীর বয়স ছিল ১৭ বছর।
বিশ্বভারতীর উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ওই ছাত্রী সফিকুলের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর। সফিকুলকে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
সফিকুলের আইনজীবী সোমনাথ মুখার্জি জানান, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৩ এবং ৪ ধারায় পুলিস মামলা রুজু করে। ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সফিকুলের আইনজীবীর বক্তব্য, তার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে।
জেলা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে সফিকুলের আইনজীবী জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সফিকুল বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় তার এই সাজার বিষয়টি আগে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে জানানো হবে।
Friday, June 3, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment