আইয়োয়া অঙ্গরাজ্যে গত জানুয়ারিতে এক রাতে ট্রাম্প দাতব্য কাজে ব্যয়ের জন্য ৬০ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেন। এ অর্থ চলি্লশটির মতো দাতব্য সংস্থার হাতে তুলে দেন তিনি। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ফাউন্ডেশন মেরিন কর্পসকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দান করেন ১ লাখ ডলার। মার্কিন মিডিয়ায় তার ওই ৬০ লাখ ডলার তহবিল তোলা নিয়ে নানান সমালোচনা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাবেক টিভি রিয়েলিটি স্টার ট্রাম্প। ৪০ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প মার্কিন মিডিয়াকে টানা আক্রমণ চালিয়ে যান। তিনি বলেন, মিডিয়া ও সাংবাদিকদের লজ্জিত হওয়া উচিত। ভালো কাজের জন্য আমি এত খারাপ প্রচার আর কখনো পাইনি। তিনি বলেন, মিডিয়ার প্রবণতা হচ্ছে বাস্তবতা ও সত্যকে উপেক্ষা করে শুধু ত্রুটি খুঁজে বেড়ানো। এ সময় তিনি রাজনীতিবিষয়ক কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলেন, এরা খুবই বাজে ও নোংরা। এরা আসল ঘটনা জানে অথচ তা প্রকাশ করে না।
প্রেসিডেন্ট হলেও মিডিয়ার প্রতি মনোভাব কেমন থাকবে_ এমন এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, হ্যাঁ আমি তা হতে যাচ্ছি এবং তখনও আমার মনোভাব পরিবর্তন হবে না। আমি বদলে যাব না। তিনি বলেন, আমি মিডিয়াকে আক্রমণ করেই যাব। কারণ, কিছু মিডিয়াকে দেখেছি যারা খুবই অসৎ। এ সময় তিনি একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদকের নাম ধরে বলেন, সে তো সর্বহারা। তিনি বলেন, আমি অনেক অর্থ দিয়েছি। কিন্তু মিডিয়া যখন সেগুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে, তখন তার চেয়ে অসৎ কেউ হতে পারে না।
ট্রাম্প নিজের প্রতি আস্থায় অবিচল থেকে বলেন, দাতব্য কাজে ব্যয়ের জন্য আমিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একরাতে ৬০ লাখ ডলার আনতে পারেন।
ট্রাম্পের প্রশংসায় উত্তর কোরিয়া : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিরশত্রু বিবেচিত দেশ উত্তর কোরিয়া বলেছে, ট্রাম্প একজন জ্ঞানী রাজনীতিবিদ। অন্যদিকে হিলারি 'নির্জীব'। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ডিপিআরকে টুডের সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলা হয়, তিনি একজন জ্ঞানী রাজনীতিক, যিনি উত্তর কোরিয়ার জন্য ভালো হতে পারেন। নিজের আন্তর্জাতিক নীতি সম্পর্কে সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।


No comments:
Post a Comment