- প্রবাসী ব্যাবসায়ী মাহিন আহমেদ ব্রাজিলের সাওপাওলো শহরে ভাউচিয়া মার্কেটের সামনে ব্যাবসার কাজে কর্মরত অবস্থায় গত বৃহঃস্পতিবার ভোর ৫ টায় হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। মরহুমের লাশ তার পরিবারের সদস্যদের শেষ সাক্ষাতের জন্য দেশে পাঠানোর ব্যাপারে দফায় দফায় মিটিং করেন বাংলাদেশী প্রবাসী কমিউনিটির নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে মরহুমের পরিবারের পরামর্শ ক্রমে ব্রাজিলের মাটিতেই মরহুমের মরদেহ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক দ্রুত দাফন কাফনের সিদ্ধান্ত নেন।
আজ শনিবার যোহর নামাজ পর শতাধিক বাংলাদেশী, আরবি, আফ্রিফানসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা দুটি বাস ও অসংখ্য প্রাইভেট গাড়ী যোগে মরহুমের মরদেহ নিয়ে ব্রাজিলের সাওপাওলো প্রদেশের মুসলমানদের জন্য ব্রাজিল সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কবরস্থান গুয়ারুলহোস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর পার্শে ইসলামিক সেন্টারে পৌছেন। উপস্থিত সকল মুসলিমদের উদ্দেশ্যে সংখিপ্ত বক্তব্য রাখেন উক্ত মসজিদের ইমাম সাহেব এবং তার ইমামতিতেই মরহুম মাহিন সাহেবের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আছর নামাজের পূর্বে মরহুমের জানাজা দাফন কাফন সম্পন্ন করে উপস্থিত সবাই মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে এক হৃদয় বিদারক ও শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ব্রাজিলের বাংলাদেশী প্রবাসী কমিউনিটির নেতারা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে মরহুমের মরদেহ দাফন কাফনসহ যাবতীয় কার্যক্রম উক্যবদ্ধভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে আঞ্জাম দেন। এতে প্রমাণিত হয় যে সাওপাওলো বাংলাদেশীদের মাঝে একতা ভালবাসা ও ভাতৃত্ববোধ অনেক শক্তিশালী ও মজবুত। যে কেউ মারা গেলে অথবা বিপদ আপদে শোকে দুখে সবাই সবার পাশে থাকেন।
আগামীকাল মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে পারি জামে মসজিদে বাদ আছর।
অপরদিকে বাংলাদেশে মরহুমের পবিবারের মধ্যে শোকের মাতম সৃষ্টি হয়। পরিবারের প্রিয় ব্যাক্তিকে হারিয়ে এবং শেষ বারের মত না দেখতে পেরে ছেলে মেয়েরা সাময়িকভাবে দিশেহারা হয়ে পরেন। পরিবারের পক্ষ হতে মরহুমের দাফন কাফনসহ সার্বিক কাজে সহযোগীতা করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
No comments:
Post a Comment