Social Icons

Saturday, September 30, 2017

ভারতের রাজস্থানে এক নারীকে ২৩ জনের গণধর্ষণ

রাজস্থানের বিকানেরে নিজের জমি দেখে ফেরার পথে অপহরণ করে দিল্লির ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে ২৩ জন দফায় দফায় ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে শনাক্ত করা গেছে। ওই দু’জন-সহ ২৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 
গত মঙ্গলবার বিকানেরের পুলিশ সুপার সওয়াই সিংহ গোদারার সঙ্গে দেখা করেন ওই নারী। তার অভিযোগ, দুপুরে তিনি যখন জয়পুর রোডের ধারে খাটু শ্যাম মন্দির এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন এমন সময় দু’জন লোক তাকে জোর করে গাড়িতে তোলে। চলন্ত গাড়িতেই তাকে ধর্ষণ করে ওই দুই ব্যক্তি। ফোনে আরও ছয়জনকে ডেকে নেয় ওই দুই অভিযুক্ত। তারাও ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। এর পর স্থানীয় পালানা গ্রামে একটি সরকারি পাওয়ার সাব স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে আরও অনেকে মিলে তাকে ধর্ষণ করে। 
 
ওই নারীর দাবি, পরের দিন অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে যেখান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেখানেই তাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত।
 
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এফআইআর যে জায়গায় কথা উল্লেখ করেছেন ওই যুবতী, সেখান থেকে কনডম উদ্ধার হয়েছে। দু’জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গেছে। নির্যাতিতার জবানবন্দিও রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা।
 
পুলিশ সুভাষ, রাজু রাম, ভানওয়াল লাল, মনোজ কুমার, জুগল ও মদন নামে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের প্রত্যেকের বয়স বিশ বছরের ঊর্ধ্বে। বাসস।

চীনে মুসলিমদের কোরান ও জায়নামাজ হস্তান্তরের নির্দেশ

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের কোরান শরীফ ও জায়নামাজ জমা দিতে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসে থাকা ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের নেতা দিলজাত রাক্সিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত রেডিও ফ্রি এশিয়াতে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, উইঘুরদের বলা হয়েছে ধর্মীয় সবকিছু কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে, আর তা না হলে তাদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
 
সাক্ষাতকারে উইঘুর নেতা রাক্সিত বলেন, আমরা একটি প্রজ্ঞাপন পেয়েছি যাতে বলা হয়েছে উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর সবাইকে কোরান শরীফ, জায়নামাজসহ ইসলাম ধর্ম সংশ্লিষ্ট সবকিছু কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে। এটা সেখানে থাকা কাজাখ ও কিরগিজ মুসলমানদের জন্যও প্রযোজ্য বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কথিত রয়েছে চীনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ‘উইচ্যাট’ এর মাধ্যমে এর ঘোষণা দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এই বিষয়গুলো ঐচ্ছিকভাবে জমা দিতে হবে আর তা না হলে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। 
 
কাজাখস্তান সীমান্তবর্তী চীনের আলতায়েরর কাজাখ সূত্রের বরাতে রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানায়, কর্মকর্তারা গ্রামে, শহরে সবখানে কোরান শরীফ ও জায়নামাজ বাজেয়াপ্ত করছে। প্রায় সব ঘরেই জায়নামাজ রয়েছে। উইঘুর মুসলিমরা চীনে নিপীড়িত জাতি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, চীনের কমিউনিস্ট সরকার এই অঞ্চলে উইঘুরদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে এবং উইঘুর লেখকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

আবারো বাড়ছে রোহিঙ্গা স্রোত

কয়েকদিনের জন্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কিছুটা কমে আসলেও নতুন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে বাড়ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের স্রোত। এক সপ্তাহে মিয়ানমারের দুই থানার আট গ্রাম থেকে এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে এসেছে বলে দাবি করছেন রোহিঙ্গা নেতারা। 
 
গত দুইদিনে মিয়ানমার থেকে ২১ হাজার ৮শ' রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে বলে দাবি করছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। রোহিঙ্গা প্রবেশ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে আবাসন ও স্যানিটেশন, ও চিকিৎসা সমস্যা। সরকারি বনভূমি ও পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে ঝুপড়ি ঘর। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি বলে দাবি করছেন সার্বিক বিষয়ে দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তাদের।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের অত্যাচারে দেশটির মংডু থানার প্রায় সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন। সেনা সদস্যরা এখন বুচিদং ও রাছিদং এলাকার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্ত বদর মোকাম থেকে এ দুই থানার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। বেশ কয়েকটি পাহাড়, বঙ্গোপসাগরের অংশ সামিলার দড়িয়া পাড়ি দিয়ে তারা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের নাইক্ষাংদিয়া জড়ো হচ্ছেন। মিয়ানমার ত্যাগ করতে তারা নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকিও। বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে উখিয়া উপকূলে ট্রলারডুবির ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক।
 
রোহিঙ্গাদের নেতা ডা. জাফর আলম জানান, বুচিদং ও রাছিদং এই দুই থানার আওতাধীন ইয়াংমং, তিতারবিল, জাংগামা, মইদং, ছালিপাড়া, গোদাম পাড়া, সাংগামা, জোপাড়া ও প্রিংডম গ্রাম থেকে এক সপ্তাহে এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সামিলার দরিয়া পার হয়ে এপারের জিনজিরা ও শাহপরীর দ্বিপে উঠে। পরে এ সব রোহিঙ্গা টেকনাফ হয়ে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
 
সাংগামা থেকে কুতুপালাং ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া মোহাম্মদ লালু (৪৫) জানান, ২০ সেপ্টেম্বর অংসান সুচি সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ২১ তারিখ থেকে সেনা সদস্যরা গ্রামে ঢুকে ঘরবাড়িতে আগুন দেয়। গরু ছাগল হাস-মুরগী লুটপাট করে। এতে রোহিঙ্গারা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ফলে এ সব গ্রামের রোহিঙ্গারা সাগর পথে পালিয়ে আসতে শুরু করে।
 
মিয়ানমারের বুচিদং থানার থামি থেকে পালিয়ে আসা কামাল হোছনের স্ত্রী দীলদার বেগমের (২৫) সঙ্গে  কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন পাহাড় টিলা ও মেটোপথ পাড়ি দিয়ে ছয় দিন খেয়ে না খেয়ে তিনি নাইক্ষংদিয়া পৌঁছেছেন। সেখান থেকে সাগর পথে আসেন টেকনাফের শাহাপরীর দ্বীপ। পরে কুতুপালং অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি আশ্রয় নেন।
 
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, এক ঘণ্টার ব্যবধানে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ৩৬টি পরিবার আশ্রয় জন্যে আইওএম অফিসে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ সব পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ২০০।
 
আইওএম কক্সবাজার অফিস সূত্র জানায়, ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পাঁচ লাখ এক হাজার ৮শ' রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর এর সংখ্যা ছিল চার লাখ ৮০ হাজার। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ২১ হাজার রোহিঙ্গা আইএমও'র নথিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা এর অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
বালুখালি ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল মোসাদ্দেক আবু সাঈদ জানান, নতুন করে রোহিঙ্গা আসছে। এর ফলে চাপও কিছুটা বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মতো পরিবেশ হয়নি।

তৃতীয় দিন শেষে প্রোটিয়াদের লিড ২৩০

পচেফস্ট্রুম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিনশেষে ২ উইকেটে ৫৪ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারদের লিড এখন ২৩০ রান। আগামীকাল রবিবার চতুর্থ দিনে ব্যাটিং করতে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা (১৭) ও টেম্বা বাভুমা (৩) ।
 
এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানে শফিউলের বলে এলবিডব্লিউ হন প্রোটিয়া উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডিন এলগার (১৮) । দলীয় স্কোরে আরো ৮ রান যোগ করে মুস্তাফিজের বলে উইকেট কিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম (১৫)।
 
 
এদিকে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৪৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩২০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ১৭৬ রানের লিড পায় প্রোটিয়ারা।
 
প্রসঙ্গগত, এই ৩২০ রানের ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্টে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। এই ইনিংসেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত কোন টেস্ট ইনিংসে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পঞ্চাশের উপর জুটি গড়তে পেরেছেন। 
 
 
ব্যবধান কমাতে দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের আশা নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল টাইগাররা। কিন্তু দিনের খেলা শুরু হলে বেশিদূর যেতে পারেননি আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। দলীয় ১৫৮ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ।
 
এরপর মাহমুদুল্লাহ ও মোমিনুল আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। ১৪.৩ ওভারে দুজনে ৬০ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটির গড়ার মধ্যেই মোমিনুল ক্যারিয়ারের ১২ তম ফিফটি তুলে নেয়। তৃতীয় দিনে লাঞ্চ বিরতির পর খেলা শুরু হলে ৬৩ ওভারের তৃতীয় বলে কেশব মহারাজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন উইকেটে সেট ব্যাটসম্যান মোমিনুল। মহারাজের শর্ট লেন্থের বল মমিনুলের ব্যাটে লেগে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে দাঁড়ানো মার্করামের হাতে গিয়ে জমা হয়। মোমিনুলের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাব্বির রহমান।
 
 
মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে তুলে অলিভিয়ারের বলে পেল্ড অন হয়ে বিদায় নেন সাব্বির। তিনি ৪৬ বলে ৩০ রান সংগ্রহ করেন। সাব্বিরের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মিরাজ। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ফলো অন পার করেন মাহমুদুল্লাহ। কেশব মহারাজকে বিশাল একটি ছয় মেরে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা নিশ্চিত করে দেন মাহমুদুল্লাহ। এরপরই প্রোটিয়া পেসার মরকেলের হাতে নতুন বল তুলে দেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। নতুন বলে মাহমুদুল্লাহকেও প্লেড অন করে সাজঘরে ফেরান মরকেল। মাহমুদুল্লাহ বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাসকিন। তাকেও রান আউট করেন টেম্বা বাভুমা। শেষ উইকেট হিসেবে শফিউলকে তুলে নেন কেশব মহারাজ।
 
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ, মরকেল, রাবাদ যথাক্রমে ৩, ২ ‍ও ২ টি উইকেট লাভ করেছেন।

Thursday, September 28, 2017

বর্ষসেরার লড়াইয়ে এমবাপেকে দেখছেন নেইমার

দলীয়করণে নষ্ট হচ্ছে নরওয়েতে বাংলাদেশিদের অবস্থান

নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে। আটলান্টিক মহাসাগর, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে ইউরোপের দ্বিতীয় জনবহুল এ দেশটি। ৪৯ লাখ জনগনের এ দেশটিতে অনেক আগে থেকেই কাজের খোঁজে ভিড় জামিয়েছে বাংলাদেশিরা। ১৯৮৬ সাল থেকে খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি চাকরি ও পড়াশোনার জন্য পাড়ি দেয় এ দেশটিতে। এরপর থেকে অল্প অল্প করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আসতে শুরু করে এ দেশটিতে। বর্তমানে কাজের চাহিদা থাকায় ও পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠায় প্রায় দুই হাজারের মতে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে নরওয়েতে।
নরওয়ের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে নরওয়ে দেশটি সর্ম্পকে ভালো ধারণা ছিলো না বাংলাদেশিদের। যার কারণে এ দেশটিতে তেমন প্রবাসী বাংলাদেশি আসার আগ্রহ দেখাতো না। তিনি বলেন, মূলত প্রথম দিকে কিছু শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য নরওয়েতে এসেছে। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পযর্ন্ত কাজের চাহিদা থাকায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ইউরোপের অনেক দেশ থেকে এ দেশে বসবাস শুরু করে। তবে ২০০০ সাল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে প্রবাসীর সংখ্যা। পরে ২০১২ সালের দিকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নরওয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এ সংখ্যা। তিনি বলেন, প্রথমদিকে কিছু বাংলাদেশি মিলে নরওয়েতে বাংলাদেশি এসোসিয়েশন অব নরওয়ে নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। সে সংগঠনটির মাধ্যমে নরওয়ে আসা অন্য বাংলাদেশিদের সর্ম্পকে জানতে পারত। তবে বর্তমানে এ সংগঠনটি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে নরওয়েত আসা হোসেন ইকবাল বলেন, নরওয়েত উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে। এ দেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দেয় নরওয়ে সরকার। যার মাধ্যমে অনেক ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে পারে শিক্ষার্থীরা। তিনি আরও বলেন, প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা শেষে এ দেশে নানা প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনে চাকরি করছে। তিনি বলেন, নরওতে উচ্চশিক্ষা শেষে স্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ করছে। কোন শিক্ষার্থী প্রথম দুইবছর অস্থায়ীভাবে কাজ করার সুযোগ পায় নরওয়েতে। পরবর্তীতে তারা সেই প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী ভাবে কাজ করা শুরু করে। একই সাথে নরওয়ে সরকার তিন বছর কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রবাসীদের স্থায়ী বসবাসের সুযোগও প্রদান করে।
সুইডেন থেকে কাজের সন্ধানে আসা ফজলুর রহমান বলেন, ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় নরওয়েতে কাজের অনেক সুযোগ করছে বাংলাদেশিদের। এমনকি অন্য দেশের থেকে বেতন ভাতাও অনেক বেশি এ দেশটিতে। বর্তমানে প্রচুর বাংলাদেশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এ দেশে কাজের সন্ধানে আসছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষ কর্মী ছাড়া নরওতে কাজের সুযোগ নাই । তাই অবশ্যই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ দেশে কাজ পাওয়া অনেক কঠিন। তবে কাজের মান ও বেতন কাঠামো অনেক ভালো হওয়ার কারণে ইউরোপের অন্য দেশ থেকে অনেক বাংলাদেশি কাজের সন্ধানে আসছে নরওয়েতে।
কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের দেশের কমিউনিটি একেবারে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। কারণ কমিউনিটিতে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা। তিনি বলেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা কিন্তু দলীয় করণের মাধ্যমে নরওয়েতে আজ অনেক খারাপ কমিউনিটি হিসেবে পরিচিত হচ্ছে বাংলাদেশিদের। তাই তিনি মনে করেন, বিদেশে কোনো দল না করে সকল বাংলাদেশির একসাথে কাজ করা উচিত। তাই তিনি অনুরোধ করেন, দল ভিত্তিতে নয়, সকলে একসাথে বিদেশে থাকলে আমরা আগের তুলনায় অনেক উন্নত হতে পারবো।

মিয়ানমার সীমান্তে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

মিয়ানমার সীমান্তে এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। বুধবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কম্যান্ডো বাহিনী ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। এই বিধ্বংসী আক্রমণে নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
 
ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের লাংখু এলাকায় এই অভিযান হয়। দু’পক্ষে তীব্র গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গেছে। এনএসসিএন (খাপলাং) বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে ভারতীয় বাহিনীর দাবি। কিন্তু যে প্যারা-কম্যান্ডো বাহিনী অভিযান চালিয়েছে, সেই বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেকেই অক্ষত ফিরেছেন বলেও সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
 
নাগা জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে ভারত সরকারের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি প্রায় দেড় দশক বলবত্ ছিল। ২০০১ সালে সংঘর্ষবিরতি চুক্তিতে সই করেছিল সংগঠনটি। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ পুনর্নবীকরণের ঠিক আগেই ২০১৫ সালে সংগঠনটি চুক্তি ভেঙে দেয়। নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে ভারতীয় বাহিনীর উপর হামলা চালাতে শুরু করে তারা। এতে অনেক হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নাগা জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকে আগেও অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ভারত এই অভিযানগুলো চালায়। এবারের অভিযানের বিশদ তথ্য এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তবে ভারতীয় বাহিনী খুব বড় সাফল্য পেয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।

ফেসবুকের বিরূদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান জাকারবার্গের

আবারো নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমের পিছনে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো সবসময়ই তার বিরুদ্ধে’ ট্রাম্পের এমন মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
 
এক টুইট বার্তায় গতকাল বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফেসবুক সবসময় ট্রাম্প-বিরোধী। সামাজিক মাধ্যমগুলোই ট্রাম্প-বিরোধী, ভুয়া বার্তা দেয়। এমনকি নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টও ট্রাম্প-বিরোধী হিসেবে ভূমিকা রাখছে। তাহলে কি সব যোগসাজশ?’ সামাজিক মাধ্যম নিয়ে এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে জাকারবার্গ বলেন, রাজনীতির দুই পক্ষই ফেসবুকের নানা কিছু নিয়ে হতাশ হয়েছে কারণ এগুলো তাদের পক্ষে ছিলো না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীরাও তাকে মিস্টার ট্রাম্পকে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
অভিযোগ আছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া যে হস্তক্ষেপ করেছে তাতে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে। আর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক আইনপ্রণেতা ও শীর্ষ কর্মকর্তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই এই তদন্ত কর্মকর্তাদের সাইটটিতে প্রদর্শিত তিন হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন জমা দেবে।
ফেসবুক মনে করছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ও পরে ওই বিজ্ঞাপনগুলোতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়ার কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে আগামী ১লা নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটিতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফেসবুক ও গুগল কর্তৃপক্ষ। বিবিসি।

উখিয়ায় ট্রলারডুবি, ১৪ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার

কক্সবাজার জেলার উখিয়ার উপকূলীয় এলাকা ইনানির পাটুয়ার টেকের মোহনায় অনুপ্রবেশকারী শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় মাঝি-মাল্লাসহ ৬৮জন নিখোঁজ রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৯ জন শিশু, ৫ জন নারীসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় ৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং ১০ জনকে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 
উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতিপূর্বে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে ট্রলার, ফিশিং বোটসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মিয়ানমার থেকে ইনানি উপকূল হয়ে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। অনুরূপ বৃহস্পতিবার চার মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ফিশিং ট্রলার মিয়ানমারের বুচিডং থেকে রওনা হয়ে সাগর পথে ইনানির কাছাকাছি পাটুয়ার টেক এলাকার সৈকতে উঠার চেষ্টা করে। এসময় প্রচন্ড ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীর খবরের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন, ইনানি পুলিশ ফাঁড়ি, কোস্টগার্ড স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় ৫ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় ১৮ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার ও উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
 
উদ্ধার হওয়া বুচিডং এলাকার লালু মিয়া (৪৫) জানান, তাদের ভাড়া করা ফিশিং বোটে মাঝিমাল্লাসহ শতাধিক নারী পুরুষ শিশু ছিল। বোটটি পাটুয়ার টেক উপকূলে উঠার সময় ঢেউয়ের আচঁড়ে ডুবে যায়। 
 
ইনানি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ষ্টালিং বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধার করা শিশুদের বয়স ৩-৬ বছর পর্যন্ত হতে পারে। তারা পাটুয়ার টেক নিচে এলাকায় উঠার সময় ট্রলারটি ডুবে যায়। 
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃত ও জীবিত উদ্ধার করা সকলেই রোহিঙ্গা নাগরিক। 
 
উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কায়কিসলু জানান, উদ্ধার অভিযান এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধার করা ১৪ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। 

Wednesday, September 27, 2017

দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সকল দেশগুলো ও রাজধানী এবং মুদ্রার নাম জেনে নিন


এক  নজরে পড়ে নিন দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো ও রাজধানী এবং মুদ্রার নাম সমূহ।
ক্রমিকদেশের নামরাজধানীমুদ্রা
১।আর্জেন্টিনাবুয়েনস আয়ারসপেসো
২।ইকুয়েডরকুইটোসুক্রা
৩।উরুগুয়েমন্টিভিডিওপেসো
৪।কলম্বিয়াবগোটাপেসো
৫।গায়ানাজর্জটাউনডলার
৬।চিলিসান্টিয়াগোপেসো
৭।প্যারাগুয়েআসুনসিওনওয়ারনি
৮।বলিভিয়ালাপাজবলিভিয়ানো
৯।ব্রাজিলব্রাসিলিয়ারিয়েল
১০।ভেনিজুয়েলাকারাকাসবলিভার
১১।সুরিনামপারামারিবোগিল্ডার
১২।পেরুলিমাইন্টি
১৩।ফ্রেঞ্চগায়ানাকেনিইউরো

পাসপোর্ট ‘যাচাই-বাছাই’ নিয়ে হয়রানি

দালাল না ধরে বা ঘুষ না দিয়ে মাসুম রানা পাসপোর্ট করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দালাল ছাড়া কাজ করাতে পারলেও পুলিশি যাচাই-বাছাইয়ের (ভেরিফিকেশন) সময় ঘুষ থেকে রেহাই পাননি। মাসুমের প্রশ্ন, ‘আমি যদি পাসপোর্টের জন্য সকল ভ্যালিড ডকুমেন্টস সাবমিট করি, তাহলে আবার ভেরিফিকেশন কেন?’
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাসুম রানা গত মে মাসে পাসপোর্ট করতে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দেড় হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসে কোনো রকম ভুল না হলে ঝামেলা ছাড়াই প্রথম ধাপ শেষ করা যায়। কিন্তু বিপত্তি বাধে পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ে। টাকা ছাড়া কোনোভাবেই সঠিক প্রতিবেদন দিতে চান না বা অযথাই দেরি করেন। তিনি আরও বলেন, তাঁর বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আর স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লায়। দুই জায়গায় যাচাইয়ের জন্য তাঁকে দেড় হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
ঘুষের ঝামেলায় ক্ষুব্ধ মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপরাধীদের ডেটাবেইস পাসপোর্ট অফিসকে দিয়ে দিলেই হয়। তাহলে বেশির ভাগ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয় না।’
সালমা খাতুনকে স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানার তদন্তের জন্য ৩ হাজার ৮০০ টাকা দিতে হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫০০ টাকা। সালমা বলেন, ‘যিনি তদন্তের জন্য এসেছিলেন, তিনি সরাসরি বলেছেন, টাকা না দিলে রিপোর্ট দেরি করে দেবে।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত ২১ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে ‘পাসপোর্ট সেবায় সুশাসন: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ পুলিশি তদন্তের প্রতিবেদনের জন্য ঘুষ দেন। ঘুষের গড় পরিমাণ ৭৯৭ টাকা। ৭৬ শতাংশ গ্রাহকই পুলিশি তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হন। প্রতিবেদনটিতে দালাল বা অন্যের মাধ্যমে পাসপোর্ট করানোর চিত্রও উঠে এসেছে। ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ সেবাগ্রহীতা দালাল বা অন্যের সহযোগিতা নিয়েছেন।
পাসপোর্টে পুলিশি তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না, তা জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান  বলেন, এখনো অনেক ভুয়া জন্মসনদ হয়। এর জন্যই প্রয়োজন আছে। তবে তিনি এও বলেন, সবার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হয়ে গেলে পুলিশি তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না, সে ব্যাপারে চিন্তা করা হতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকেই দালালেরা ছেঁকে ধরেন। তাঁদের একজন মো. নাসির। কীভাবে তাঁরা পাসপোর্ট করিয়ে দেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণভাবে করতে গেলে ৮ হাজার ও জরুরি করতে গেলে ১৩ হাজার টাকা লাগে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার জন্য লাইন ধরতে হবে না। পুলিশি তদন্তের ভারও তাঁদের ওপর। তাঁরাই স্থায়ী-অস্থায়ী ঠিকানায় তদন্তের প্রতিবেদন আনবেন।
পুলিশি এই তদন্ত নিয়ে অভিযোগ অনেকেরই। ভুক্তভোগী কয়েকজন বলেন, সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরেও এই তদন্ত ভোগান্তি বাড়ায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পাসপোর্টগ্রহীতা বললেন, ‘এটা ভেরিফিকেশন না, হয়রানির করে ঘুষ খাওয়ার একটা উপায়।’
যাচাই-বাছাইয়ের হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে দুদিন সময় দিয়েও ব্যস্ততার কারণে কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

দালালদের কাছে পদে পদে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশিরা

 দিন দিন বাড়ছে অবৈধপথে বিদেশে পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা। দালালদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছে তারা। অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে বেশিরভাগই বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তবুও কমছে না এ যাত্রা। উন্নত জীবন আর আর্থিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিদিন সমুদ্রপথে ভূমধ্যসাগর বা পানামার ডেরিয়েন গ্যাপের মতো ভয়ংকর জঙ্গলও পাড়ি দিতে দ্বিধা করছে না বাংলাদেশিরা। আর তাই নিত্যনতুন রুটে বিদেশ পাড়ির স্বপ্ন নিয়ে প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকি নিচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশি।
জার্মানি থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসা নোয়াখালি জেলার তিন বাংলাদেশি জানিয়েছেন অবৈধ পথে জার্মানি যেতে কি ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাদের। তারা জানান, প্রায় তিন লাখ টাকার বিনিময়ে এক দালালের মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে জার্মানির উদ্দেশ্য রওনা হন। তারা জানান, সিলেটের বিমানবন্দর থেকে তুরস্কে যান তারা। সেখানে গিয়ে ওই দালাল তুরস্কের এক বাংলাদেশি দালালের কাছে বিক্রি করে দেয় তাদের। এ সময় নতুন দালাল জার্মানি নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে আবার তিন লাখ করে টাকা নেয়। এই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভয়াবহ নির্যা।তন চলে তাদের উপর।
তিন বাংলাদেশির মধ্যে রশিদ নামে একজন জানান, তুরস্কে তাদের প্রায় ১ মাস থাকতে হয়। কারণ বাংলাদেশ থেকে টাকা না পৌছানো পযর্ন্ত তাদের সেই দেশে আটকে রাখে দালালরা। রশিদ জানান দালালরা  তাদের অমানবিক অত্যাচার করতো। ঠিক মতো তিনবেলা খেতে দিতো না। টাকা দিতে দেরি করায় তাদের লাঠি দিয়ে পেটাতো। এমনকি কখনো কখনো তাদের দুই হাত দড়ি দিয়ে টাঙ্গিয়ে রাখতো সারা রাত। রশিদ আরো জানান, তাদের সাথে পাকিস্তানি ও বাংলাদেশের আরো ত্রিশজন ছিলো। যাদেরকে একই ভাবে টাকার জন্য নির্যাতন করতো দালালরা। রশিদ জানান, তারা টাকার ব্যবস্থা করার পরও তাদের বিভিন্ন ভাবে আটকে রাখতো দালালরা। কিছুদিন পর পর পাঁচ-সাতজন করে জার্মানির উদ্দেশ্যে তুরস্ক থেকে গ্রিসে পাঠাতো তাদের। এভাবে প্রায় ১ মাস পর রশিদ সহ তার অন্য বন্ধুরা জার্মানির উদ্দেশ্যে গ্রিসে পৌছায়। গ্রিসে গিয়ে তুরস্কের দালালরা আবার তাদের বিক্রি করে দেয় নতুন দালালের কাছে। এ দালালরা ছিলো নাইজেরিয়ান। তুরস্ক থেকে আসা অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নতুন দালালের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ থাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ধরে ফেলে নাইজেরিয়ান দালালচক্রটি।
এরপর টাকার জন্য আবার তাদের উপর অত্যাচার করতে থাকে নতুন দালাল চক্রটি। এবার প্রতিজনের থেকে দুই লাখ টাকা করে দাবি জানায় এ দালাল চক্রটি। রশিদ বলেন, তাদের আর টাকা দেওয়ার সার্মথ্য ছিলোনা। আর এরপরই নতুন দালালরা তাদের জঙ্গলে নিয়ে দিনের পর দিন আটকে রেখে মারধর করে। এসময় তাদের দিনে একবার খেতে দিতো, আবার কখনো কখনো খেতেই দিতো না।
এরপর অনেক কষ্টে আবার বাংলাদেশ থেকে টাকা জোগার করে সেই দালালদের মাধ্যমে জার্মানি পৌছায় তারা। রশিদ বলেন, অবৈধ প্রবাসীরা যে দেশেই যাক না কেনো অবৈধ হওয়ায় তারা কোন ভালো কাজ খুঁজে পায় না। ফলে তাদের পড়তে হয় নতুন সমস্যায়। তাই তিনি জানান, অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন না দেখে কোনো কাজে দক্ষ হয়ে বৈধ পথে বিদেশে যাওয়া উচিত। কারণ বিদেশে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য প্রচুর ভালো কাজ আছে। কিন্তু অবৈধ ও অদক্ষ হলে বিদেশে গিয়েও ভালো আয় করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। রশিদের মত ভুক্তরভাগীদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়া রোধে কঠোর আইন করা। যেনো কোন বাংলাদেশিকে দালালদের মাধ্যমে বিদেশে যেতে না হয়। একই সাথে জনশক্তি রপ্তানি বাংলাদেশে অর্থনীতির একটি অন্যতম বড় খাত। তাই এ খাতটি যেনো দালাল চক্রের কারণে নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়া প্রবাসীরা।

লিথুনিয়ায় উচ্চশিক্ষা শেষে স্থায়ী বাসের সুযোগ

বাল্টিক সাগর তীরে দক্ষিণ ইউরোপের অপরূপ সৌন্দর্যের এক দেশ লিথুয়ানিয়া। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানকার জীবন যাত্রার ব্যয় অনেক কম। এ দেশে রয়েছে অনেক গুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেমন ব্যাচেলর লেভেলে পড়তে গেলে সে দেশের ভাষায় পড়া লাগে, সে তুলনায় লিথুয়ানিয়াতে ব্যাচেলর লেভেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়ে থাকে, যা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এ দেশে সফলভাবে পড়াশোনা শেষে রয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ। সেনজেনভুক্ত একটি রাষ্ট্রে উন্নত পড়াশোনার মাধ্যমে আপনার সামনে খুলে যাবে পুরো ইউরোপের দরজা।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে লিথুয়ানিয়া। এর রাজধানী ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়ার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। ভর্তি ফি, টিউশন ফি, বিমানভাড়াসহ সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা খরচ করেই লিথুয়ানিয়ায় উচ্চ শিক্ষা নিতে পারবেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই একজন শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারেন। শিক্ষার্থীকে প্রথমে নিজের পছন্দের বিষয় বাছাই করতে হবে। লিথুয়ানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে আকর্ষণীয় সব বিষয়। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, নার্সিং, হোটেল ম্যানেজমেন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিগুলোতে রয়েছে শতাধিক বিষয়।



লিথুয়ানিয়ায় যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে প্রথমে শিক্ষার্থীকে এস কে ভি সি থেকে কোয়ালিটি এসেসমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হবে। সে জন্য ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে তা পুরণ করে ১ কপি করে সত্যায়িত করা একাডেমিক ডকুমেন্টস আর পাসপোর্টের কপি সহ তা ডাকযোগে প্রেরন করতে হবে।

পাঠানোর ঠিকানা:

To the Centre for Quality Assessment in Higher Education (A. Goštauto g. 12, LT-01108 Vilnius, Lithuania)

এরা কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সার্টিফিকেট প্রদান করতে সময় নিবে ২০-২৫ দিনের মতো। এই সার্টিফিকেট অন্যান্য কাগজপত্রের সাথে ভর্তির জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরন করতে হবে। এর জন্য তারা কোনও ফি গ্রহণ করে না। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। এসব প্রক্রিয়ার পরই ভারতের দিল্লির লিথুয়ানিয়া এম্বাসিতে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা হাতে চলে আসে। এরপরই লিথুয়ানিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়।

লিথুয়ানিয়ায় চাইলে শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম চাকুরি করে নিজের খরচ চালাতে পারেন। অবশ্য শিক্ষার্থীর টিউশন ফির সঙ্গেই এক মাসের থাকা খাওয়ার খরচও দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। টিউশন ফি ২ হাজার ১শ’ ইউরো থেকে ৪ হাজার ইউরো পর্যন্ত হয়। এখানেই ১ মাসের থাকা খাওয়ার খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। টিউশন ফি জমা দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ৮ লাখ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়। আর প্রতিমাসে লিথুয়ানিয়া থাকতে একজন শিক্ষার্থীর জীবনযাপনের ধরনের ওপর নির্ভর করে ২০০ থেকে ৪০০ ইউরোর মতো খরচ হয়।

লিথুয়ানিয়া পড়াশোনার বড় সুবিধা হলো- এখানে সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করতে পারলে সেনজেনভুক্ত ২৬টি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। সেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো-অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথিউয়নিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন।

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের

ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াংয়ের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন হ্যানয়ে নবনিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সোমবার হ্যানয়ে ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সামিনা নাজ। 
হ্যানয়ের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রটোকল অনুযায়ী তাকে অভ্যর্থনা জানান ট্রান দাই কুয়াং। বৈঠকে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত স্বাগত জানিয়ে তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের সময়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা হো চি মিনকে স্মরণ করে বলেন, তিনি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভকামনা ও বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে এসেছেন।  বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের মিলের কথা তুলে ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ও হো চি মিনের শক্তিশালী নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রপতির ভিয়েতনাম সফরের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টকে ২০১৮ সালের শুরুতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরা নিয়ে সংশয় জাতিসংঘের

রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ গ্রান্ডি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে অবস্থান করা আট লাখ রোহিঙ্গা বাড়ি ফিরতে পারবে কি না এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। গতকাল বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার উদ্বেগের কথা জানান। এর আগে তিনি বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফ শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।

আগামী সপ্তাহে জেনেভায় রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন অবস্থা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন গ্রান্ডি। তিনি একে ব্যাপক জটিল ইস্যু আখ্যা দিয়েছেন। বলেন, এটা স্পষ্ট যে, এই সংকটের উত্পত্তি মিয়ানমারে। এর সমাধানও সেখানে।

এদিকে, মিয়ানমার সৈন্যরা রোহিঙ্গাদের যে বাড়িঘর ও ভিটা জ্বালিয়ে দিয়েছিল তা ‘বাজেয়াপ্ত করে’ দখলে নিচ্ছে সেদেশের সরকার। সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য এসব জমিজমা ও সম্পত্তি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী উইন মায়াত আয়্যা। গতকাল রাখাইনের রাজধানী সিট্যুতে এক সভায় ওই মন্ত্রী এ কথা বলেন।   জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে উত্তর রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন গ্রান্ডি। যাতে পরিস্থিতির সমাধান নিয়ে আলোচনা চালানো যায়। তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টা এমন যে রোহিঙ্গাদের ফিরতে সময় লাগবে।

মিয়ানমারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন উল্লেখ করে মিয়ানমারের মন্ত্রী উইন মায়াত আয়্যা আরো বলেছেন, এই সংস্কার ও উন্নয়নকাজ খুবই কার্যকর হবে। ‘দুর্যোগে’ পুড়ে যাওয়া এলাকা পুনর্গঠন তদারকি করবে সরকারের ভূমি বিভাগ। ওই সভায় রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে একটি কমিটি করা হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমারের দৈনিক দি গ্লোবাল লাইট অফ মিয়ানমার এক প্রতিবেদনে বলেছে, মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলোর মালিক সরকার, সরকারের সংস্থাগুলোই এগুলো দেখাশোনা করবে। মিয়ানমার সরকার দাবি করছে, যেসব ভূমি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে সেগুলো রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই পুড়িয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা এক্টিভিস্ট ও নেতাদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, রাখাইনের মংডু জেলার সদর, বুথিডং ও রাথিডং থানায় অন্তত চারশ গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের অর্ধেক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু তারা বলছে- রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই এগুলো পুড়িয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রোহিঙ্গা এক্টিভিস্টরা ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করা হলেও মিয়ানমার সরকার বলছে এই সংখ্যা মাত্র পাঁচশ। এরমধ্যে চারশত জনই আরসা ‘বিদ্রোহী’। একইসাথে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এই সংকটকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয় এবং জাতিগত নির্মূল নয় বলেও দাবি করছে। সেদেশের সংখ্যাঘরিষ্ঠ বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের তাড়াতে সরকারের পাশে থেকে প্রচারণা চালাচ্ছে।

লন্ডনে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা মং তুন খিন ইত্তেফাককে বলছিলেন, ‘সরকার যে এই ধরণের উদ্যোগ নিবে এটা আগে থেকেই অনুমান করা যায়। ১৯৯২ সাল থেকে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তাড়াতে এই ধরণের নৃশংসতা চালিয়ে আসছে। মিয়ানমার সৈন্যদের নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে গেলে সরকার তাদের সম্পদগুলো দখলে নেয়। এভাবে লাখো রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এবারো তাই হচ্ছে।’

সাত লাখ রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দিতে পারবে জাতিসংঘ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাত লাখ পর্যন্ত রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে চার লাখ ৮০ হাজারই গত এক মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আগামী সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশমুখী এই জনস্রোত অব্যাহত থাকলে ব্যাপক খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত। আগে থেকে বাংলাদেশে বসবাসরত তিন লাখ রোহিঙ্গার জন্যও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সেক্ষেত্রে ১০ লাখ মানুষ ডব্লিউএফপি’র সেবা পাবে। মানবিক সহায়তা থেকে কেউই বাদ যাবে না। তবে এজন্য আমাদের ৮ কোটি ডলারের তহবিল দরকার।

চীনের ত্রাণ চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম অফিস জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চীন সরকার ৫৭ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। গতকাল সকালে ত্রাণবাহী উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমানের হাতে এসব ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের কর্মকর্তা জং জিয়াজু।

রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তুরস্ক

কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নোমান কুত্তোলমাস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নেবে তুরস্ক। একই সাথে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে তুরস্ক সব সময় থাকবে।  গতকাল দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

লক্ষাধিক মানুষের নিরাপদ পানি নিশ্চিত করেছে ব্র্যাক

উখিয়া ও টেকনাফের ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্র্যাক ৩৯২টি নলকূপ স্থাপন করেছে। এই সেবার আওতায় পড়বেন ১ লক্ষ ৩৫২ জন মানুষ। ৩০ হাজার ৬০০ মানুষের ব্যবহারের জন্য ৭৬৫টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ১৫ হাজার ল্যাট্রিন ও এক হাজার একশ বিশটি টিউবওয়েল বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ব্র্যাকের।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আরো একজনের মৃত্যু

লামা (বান্দরবান) সংবাদদাতা  জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে  নুরুল ইসলাম নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সীমান্তের ৪৩ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল ইসলাম (২৫) বলিবাজারের পুরান মাইজ্যা এলাকার মোহাচ্ছের আলীর ছেলে।

টেকনাফ (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, গত দুইদিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২ দালাল ও ৮ মাদক সেবীকে সাজা দিয়েছে।

Monday, September 25, 2017

দেরিতে বিয়ে হলে যে ৭ মানসিক সমস্যায় ভোগেন নারীরা

শিরোনামটি পড়ে অনেকেই ক্ষেপে উঠতে পারেন। তবে সত্য এটাই যে, সমাজে এখনও একজন নারীর শেষ গন্তব্য ও সাফল্য বিবেচনা করা হয় বিয়ে ও সংসারকেই।
আর তাই, একটি নির্দিষ্ট বয়সের মাঝে বিয়ে না হলে, বেশিরভাগ নারীই কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এমনকি যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী, তাদের মাঝেও দেখা যায় কিছু কিছু ব্যাপার। কখনও কাজ করে ঈর্ষা, কখনও সামাজিক চাপ, কখনও একাকীত্ব। সব মিলিয়ে অনেকেই নিজের মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
জেনে নিন এমন কিছু সমস্যা সম্পর্কে, যেগুলো তৈরি হয় বিয়ে দেরিতে হলে। সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা গেলে সেটা থেকে বের হয়ে আসাও সহজ।
১. একাকীত্ব থেকে বিষণ্ণ হয়ে যাওয়া : সমবয়সী সকল বোন বা বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, আর স্বভাবতই বিয়ের পর সকলেই নিজের পৃথিবী নিয়ে একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এক্ষেত্রে যার বিয়ে হয়নি, তিনি হয়ে পড়েন একলা। প্রিয় বোন বা বান্ধবীদের খুব একটা কাছে পান না, কাটানো হয় না ভালো সময়। সবমিলিয়ে বিষণ্ণ হয়ে পড়েন, আর সেই বিষণ্ণতা থেকেই মনের মাঝে জন্ম নেয় হতাশা ও শূন্যতা। আর এই বোধ থেকে বের হয়ে আসার সেরা উপায় হচ্ছে নতুন বন্ধু-বান্ধব তৈরি করা, যার কাছে আপনার জন্য পর্যাপ্ত সময় আছে।
২. নিজেকে অযোগ্য মনে করা : সমবয়সী সকলে নিজের জীবন সঙ্গী পেয়ে গেছেন, আপনি হয়তো বারবার চেষ্টা করেও পারছেন না। হয়তো প্রেম সফল হয়নি কিংবা পরিবার থেকে চেষ্টা করেও ফল হচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের দেশে পাত্রী দেখাবার প্রক্রিয়াটা খুব অপমানজনক। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হবার পর নিজেকে অনেকেই অযোগ্য মনে করতে শুরু করেন। এত অযোগ্য যে, কোনো ছেলেরই তাকে পছন্দ হচ্ছে না। এমনটা ভাবা মানে অকারণেই নিজেকে ছোট করা। মনে রাখবেন, কোনো পুরুষের আপনাকে পছন্দ হয়নি মানেই আপনি অযোগ্য নন। এটা নিয়ে কষ্ট পাবার কিছু নেই। সম্ভব হলে ঘটা করে পাত্রী দেখার আয়োজনটা এড়িয়ে যান, অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।
৩. খুব কাছের বোন বা বান্ধবীর প্রতিও ঈর্ষা হওয়া: এটাও খুব সাধারণ একটা আবেগ। আমরা মানুষ, এমনটা হতেই পারে আমাদের সাথে। খুব কাছের বোন বা বান্ধবীটি হয়তো এখন আর আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না, নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত ও সুখী। এমন অবস্থায় ঈর্ষার একটা বোধ খোঁচা দিতেই পারে আপনাকে। এক্ষেত্রে নিজেকে বিষয়টা বোঝান। প্রথমত এটা ভাবুন যে তার জীবনে মোটেও আপনার গুরুত্ব কমেনি। আর দ্বিতীয়ত, একদিন আপনারও এমন চমৎকার একজন জীবনসঙ্গী হবে, তাই মন খারাপের কিছুই নেই।
৪. বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়া করতে গিয়ে নিজেকে হাস্যকর করে ফেলা : অনেক নারীই এই কাজটি করে ফেলেন নিজের অজান্তেই। আর তা হল, একটি বিয়ে করার জন্য “ডেস্পারেট” হয়ে যান। ক্রমাগত সামাজিক ও পারিবারিক চাপ থেকে এটা হয়। মনের মাঝে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে যে “বয়স পার হয়ে যাচ্ছে”! আর এই পার হয়ে যাওয়া বয়সকে টেক্কা দিতে একজন জীবনসঙ্গীর জন্য আকুল হয়ে ওঠেন অনেকেই। বারবার ঘটকের কাছে যাওয়া, অফিসে বা পরিচিত মহলে নিজেকে পাত্রী হিসাবে উপস্থাপন ইত্যাদি করতে গিয়ে নিজেকে হাসি ও করুণার পাত্রে পরিণত করে ফেলেন তারা। আপনিও কি এমন করছেন? তাহলে জেনে রাখুন, এসব করে কেবল সামাজিক মর্যাদাতেই খাটো হচ্ছেন আপনি। এসবে তেমন কোনো ফল নেই।
৫. চাপের মুখে ভুল মানুষকে বেছে নেওয়া : ক্রমাগত পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক নারীই ভুল মানুষটিকে বেছে নেন বিয়ের জন্য। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, যাকে সামনে পেলাম, তাকেই বিয়ে করে ফেললাম। কিংবা যে রাজি হল, তাকে পছন্দ না হলেও বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া। অনেকেই এই ব্যাপারটিকে ভালোবাসা ভেবে নিজেকে শান্তনাও দিতে চান। আবার অনেকে পরিবারকে খুশি করার জন্য নিজেকে রীতিমত চাপ দিয়ে বিয়েতে রাজি করায়। এই ভুলটি কখনও করবেন না। একটাই জীবন এবং এই জীবনে একটি ভুল বিয়ে আপনার অশান্তি কমাবে না বরং বাড়বে।
৬. কারও ভালো সহ্য করতে না পারা : এটাও একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকের মাঝেই দেখা যায়। যখন বিয়ে না হবার কারণে একজন মানুষ ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে থাকেন। তখন স্বভাবতই তার মাঝে জন্ম নেয় ক্ষোভ ও ক্রোধ। আর এই ক্ষোভ ও ক্রোধের কারণেই বিবাহিত সকলকে মনে হতে থাকে শত্রু। নিজের অজান্তেই একজন খিটখিটে মানুষে পরিণত হয়ে যাই আমরা, যার কাছে পৃথিবীর কারও ভালোটা ভালো লাগে না। কারও সাফল্য বা সুখ সহ্য হয় না। এই ব্যাপারটা দূর করার জন্য কাউন্সিলিং ভালো কাজ দিতে পারে।
৭. আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা : যে সমাজে একজন মেয়ের সফলতা বা বিফলতা নির্ভর করে তার স্বামী ও সংসারের স্ট্যাটাসের ওপরে এবং সঠিক সময়ে বিয়ে না হলে মেয়েটি হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুশূল, সেই সমাজে বিয়েতে দেরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। যখন ক্রমাগত নিজের কাছের মানুষেরাই বলতে থাকে যে “তুমি এত অযোগ্য যে পাত্র জোটে না”, তখন অনেক নারীই নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন আর ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন জীবন থেকে। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। জীবন আপনার। আর আপনার জীবনে মাথা উঁচু করে আপনাকেই বাঁচতে হবে। একবার ঘাড় নুইয়ে ফেললেই পরাজিত আপনি।
ভালো থাকুন নারীরা। নিজেকে বিয়ের বা সংসারের মাপকাঠিতে মাপবেন না। আপনি মানুষ, নিজেকে মাপুন কেবল নিজের যোগ্যতার মাপকাঠিতে।

আসামি রুবির সেই ভিডিও তদন্তের নির্দেশ


চিত্রনায়ক সালমান শাহ অপমৃত্যুর মামলায় আসামি রাবেয়া সুলতানা রুবির সেই ভিডিওর বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বর তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার এ আদেশ দেন।
এর আগে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে ওই ভিডিওবার্তা আদালতে সিডি আকারে উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া এ মামলার নারাজি আবেদনের আরেক আসামি রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। তবে এ বিষয়ে বিচারক কোনো আদেশ দেননি। এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থাকা রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা এখন ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। আসামি রুবির ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে এবং ঘটনার তদন্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিচারক এসব বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২০ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। এর ১০ মাস পর তদন্ত এক নাটকীয় মোড় নেয়। সালমানের বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই রিজভী আহমেদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বাসায় অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিজভী আহমেদ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দাবি করে বসেন, সালমানকে খুন করা হয়েছে। তার দাবি, এই হত্যার পেছনে আছেন সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, তার শাশুড়ি লতিফা হক, চলচ্চিত্রের খল চরিত্রের অভিনেতা ও সালমানের বন্ধু আশরাফুল হক ওরফে ডন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। এদের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে তিনি (রিজভী) নিজেও ভাড়াটে খুনি হিসেবে যুক্ত হন। পরে সালমানের বাবা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে নালিশি হত্যা মামলা করেন। আদালত দুটি অভিযোগ একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০০২ সালে মারা যান সালমান শাহর বাবা।

ফেসবুকে ভূয়া খবরের ব্যাপারে জাকারবার্গকে সতর্ক করেছিল ওবামা


যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে ২০১৬’র নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত একটি সভায় ফেসবুকে ভূয়া খবর ছড়িয়ে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।
 
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ১৯ নভেম্বর পেরুর লিমাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকের পর ওবামা-জাকারবার্গের এই সাক্ষাত ঘটে। ট্রাম্পের অভিষেকের দুই মাস আগে এবং রাশিয়া থেকে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরণের প্রপাগান্ডা ফেইসবুকে প্রচার হচ্ছে- এই সংবাদ জাকারবার্গ উড়িয়ে দেওয়ার পর ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন ওবামা।  
 
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, জাকারবার্গ এই প্রপাগান্ডা প্রচারের বিষয়টি পরে স্বীকার করেছিলেন। তবে তিনি ওবামাকে তখন বলেছিলেন ভূয়া খবরগুলো ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি এবং এটির কোনও সহজ সমাধানও ফেইসবুকের কাছে তখন ছিল না।
 
ওবামার জাকারবার্গকে সতর্ক করার এই খবর এলো এমন এক সময়ে, যখন রাশিয়ান ফেইক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো প্রপাগান্ডা ও বিজ্ঞাপনের নথি কংগ্রেসে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ জমা দেবে বলে খবর এসেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates