আটলালিন্টক মহাসাগরের বুকে ওপর সুন্দর এই মসজিদটি দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে এই মসজিদটিকে দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে। আর মুসল্লিরা নামাজ পড়ছেন সেই পানির ওপর। নির্মাণশৈলীতেও অনন্য এ মসজিদটির তিনভাগের একভাগই সাগরের ওপর অবস্থিত।
মসজিদটি তৈরি করেছিলেন বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান। মসজিদটির নির্মাণকাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ।
মসজিদটিকে দূর থেকে ছোট দেখালেও প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন এ মসজিদে। মসজিদের সুউচ্চ মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার। আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায় বলে এর ভেতরে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না।
জানা যায়, মসজিদটি নির্মিত হয়েছে ২২.২৪ একর জায়গার ওপর। মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। ২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরণা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি।
১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর পরিশ্রমে এটি প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয়। ১৯৯৩ সালের ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। সেসময় এটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৮০ কোটি ডলার।
No comments:
Post a Comment