সুপার কনডম বানিয়ে সাড়া ফেলে দিলেন কলকাতার কন্যা৷ নাম মহুয়া চৌধুরী৷ সদ্য চল্লিশে পা দেওয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেধাবী প্রাক্তনী বানিয়েছেন এমন এক কনডম যা নিশ্চিতভাবে এইচআইভি পজিটিভ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে এবং যৌন মিলনের সুখকে বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই৷ যৌন মিলনের সুখানুভূতি বাড়াতে বিশ্বজুড়ে ডটেড কনডম ও সুগন্ধিত কনডমের প্রচলনই বেশি৷ বেশিরভাগ সঙ্গী ও সঙ্গিনীর এই দুটিই বরাবরই প্রথম পছন্দ৷ কিন্তু তাতে এইডস প্রতিরোধক স্বয়ংক্রিয় কোনো ব্যবস্থা নেই৷ নেই অতিরিক্ত রক্ষাকবচও৷ আর এখানেই বাজিমাত করেছে মহুয়ার তৈরি এক্সট্রা প্রোটেকশন সুপার কনডম৷ মার্কিন মুলুকের টেক্সাসস্থিত এ অ্যান্ড এম হেলথ সায়েন্স সেণ্টারের অধীন ইরমা লারমা র্যাঙ্গেল কলেজ অফ ফার্মেসির অ্যাসিস্ট্যাণ্ট প্রফেসর মহুয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, অনিচ্ছুক গর্ভধারণ রোধ করতে, সেক্স করার আনন্দ ও তার সময় আরও একটু বাড়াতে এবং এডসসহ বিভিন্ন্ সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজ নিশ্চিতভাবে প্রতিরোধ করতে শীঘ্রই বাজারে আনা হবে এই নতুন কনডম৷ কী বিশেষত্ব আছে এই কনডমে? যে কোনও মাপের পুরুষাঙ্গের সঙ্গে মানানসই হয়ে সেঁটে যাবে এটি৷ সেজন্য উন্নতমানের পলিফোম ও হাইড্রোজেল দিয়ে তৈরি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে৷ সঙ্গিনীকে দেবে চরম সুখ৷ যা বাজার চলতি সবচেয়ে দামি কোনও ল্যাটেক্স কন্ডোম দিতে পারবে না৷ নতুন কনডমটি দেখতে মানুষের শরীরের ত্বকের প্রথম স্তরের মতোই পাতলা৷ অর্থাত্ সঙ্গী ও সঙ্গিনী কারওই একবারও মনে হবে না যে তারা কন্ডোম পরে সেক্স করছে৷ অনুভূতি হবে কনডম ছাড়া যৌন সুখের মতোই৷ কন্ডোমটি সেলফ লুব্রিকেটিং৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা মিলনের সময় আপনাআপনি পিচ্ছিল হতে থাকবে এটি৷ ভরপুর রোমান্সে কোনও ঘাটতি হবে না৷ তবে চমকটা অন্য জায়গায়৷ কন্ডোমটিতে থাকছে ইন বিল্ট অ্যাণ্টি অক্সিডেণ্ট সলিউশন৷ যার সংস্পর্শে এলেই ছটফট করে সঙ্গে সঙ্গে অক্কা পাবে এডস রোগের ভাইরাস৷ এইচআইভি'র যম এই কন্ডোম৷ তাহলে? কারও যৌন সঙ্গী যদি বিশ্বস্ত না হন বা কেউ যদি বহুগামী হন, তাহলেও কুছ পরোয়া নেহি৷ সাহসে ভর করে সেক্স করুন৷ এক্কেবারে টেনশন ফ্রি৷ যোনি বা পুরুষাঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মারণ বিষ বা ভাইরাসকে টেনে এনে খতম করবে অ্যাণ্টি অক্সিডেণ্ট দিয়ে তৈরি এই এক্সট্রা প্রোটেকশন সুপার কনডম৷ যে পলিমার ও হাইড্রোজেল দিয়ে কনট্যাক্ট লেন্স তৈরি হয় সেই উপকরণ দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই কনডম৷ কর্তৃপক্ষের দাবি, চরম মুহূর্তে ঝাঁকুনির সময় কনডম ছিঁড়ে গেলেও নো টেনশন৷ অ্যাণ্টি অক্সিডেণ্ট সল্যুশন ছড়িয়ে পড়বে তখনই৷ মুহূর্তের মধ্যে মারা পড়বে সিফিলিস, গনোরিয়া থেকে এইচআইভি'র জীবাণুরা৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মলিকিউলার বায়োলজি এবং জেনেটিক্স নিয়ে এমএসসি করেছেন মহুয়া৷ ১৯৯৯ সালে স্নাতক হয়েছেন এখানে থেকেই৷ পরে আমেরিকায় গবেষক ও বিজ্ঞানী হন৷ সুপার কনডমের জননী জানালেন, পেটেণ্ট পেলেই আগামী ছ'মাসের মধ্যে আমেরিকা ও ইউরোপের বাজার ছেয়ে যাবে এই সুপার কনডমে৷ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য গরিব ও নিম্নবিত্তরা এই কনডম ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য আর্থিক সহায়তা দেবে বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস-এর সংস্থা৷
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Friday, December 18, 2015
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment