Friday, February 26, 2016
আজ নতুন সভাপতি পাচ্ছে ফিফা
সেপ ব্ল্যাটার নিষেধাজ্ঞা মাথায় বিতাড়িত, মিশেল প্লাতিনিও একই পথে। এমন অবস্থায় ইউরোপিয়ানদের কাছে বিশ্বের ফুটবল প্রশাসনের শীর্ষ পদে জিয়ানি ইনফান্তিনোই প্রথম পছন্দ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলছে এমনটাই। আজ জরুরি সাধারণ সভায় নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে বিশ্ব ফুটবল প্রশাসনের আগামী দিনের শীর্ষ কর্তাকে। কাগজে-কলমে প্রার্থীর সংখ্যা পাঁচ, তবে জরিপ বলছে, ভোটের লড়াইটা শেষ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে ইনফান্তিনো ও বাহরাইনের শেখ সালমান—এ দুজনের মধ্যেই। ফিফার সদস্য ২০৯ দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল এএফপির তরফ থেকে। কোথাও সাড়া মিলেছে, কোথাও মেলেনি। মোট ১৬১টি জায়গা থেকে প্রত্যুত্তর পাওয়া যায়, সেই সূত্রে হিসাব করে এএফপি জানিয়েছে নির্বাচনী হালচাল। উয়েফার আশীর্বাদ খুব স্বাভাবিকভাবেই ইনফান্তিনোর ওপর, এই সংগঠনের মহাসচিব পদেও আসীন তিনি। উয়েফার নির্বাহী কমিটির পূর্ণ সমর্থন নিয়েই ফিফা প্রেসিডেন্টের নির্বাচনে মাঠে নামা ইনফান্তিনো উয়েফার ৫৩টি ভোট পাবেনই, সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি ও মধ্য আমেরিকার ৭টি ভোট তাঁর বাক্সে আসার জোরালো সম্ভাবনা। অর্থাৎ ৭০টি ভোট তাঁর পক্ষে কমপক্ষে আসছে—এ নিশ্চয়তা পেয়েই ভোটের ময়দানে ইনফান্তিনো। তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী এএফসি প্রেসিডেন্ট শেখ সালমান অন্তত ১০০ ভোট পকেটে রেখেই ময়দানে উতরেছেন! নিজের মহাদেশে এএফসির ৪৬ ভোট আর আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিএএফ) ৫৪ ভোট শেখ সালমানের বাক্সে যাওয়ারই জোরালো সম্ভাবনা। কাজেই সালমানের দিকে ভোটের পাল্লাই ভারী, অন্তত প্রকাশ্য ঘোষণা থেকে তা-ই আঁচ করা যায়। ইনফান্তিনো আফ্রিকা সফর করে বেশ কিছু ভোটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এলেও প্রকাশ্যে শুধু উয়েফা মহাসচিবকে ভোট দেওয়ার কথা বলছে সাউথ সুদান। কঙ্গো ডিআর (সাবেক জায়ার) অবশ্য প্রকাশ্যেই অবস্থান নিয়েছে জর্দানের প্রিন্স আলীর পক্ষে। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে আদৌ ভোট পড়বে কি না, আর দিলেও কে দেবেন তা নিয়েই চলছে বিতর্ক। লিবিয়ায় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দুটি, তব্রুকে আর ত্রিপোলিতে। প্রিন্স আলী প্রচারণায় ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে সঙ্গে নিয়ে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বানানোর ঘোষণা দিয়েও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। প্রকাশ্যে মাত্র চারটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের জেরোম শ্যাম্পেন আর দক্ষিণ আফ্রিকার টোকিও সেক্সওয়েলের পক্ষেও কোনো কথা শোনা যাচ্ছে না। এএফপি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment