বিডিআর বিদ্রোহের প্রকৃত রহস্য এখনও উম্মেচিত হয়নি দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিচার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া এগারটায়র দিকে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিয়ার বিদ্রোহের শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান বলেন,৭ বছর আগে এই দিনে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা হত্যা হয়েছে। আমরা তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। সেনাকর্মকর্তা হত্যায় সেনাবাহিনী ও দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিচার হচ্ছে। আবার বিচারের নামে প্রহসন চলছে। প্রকৃত হত্যাকারীরা ষড়যন্ত্রকারীরা রহস্যময় থেকে গেছে। তদন্তে কি ছিল পরিবার বা আমরা কেউ জানি না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী জানতে চায় কারা এর সাথে জড়িত ছিল। যারা জড়িত ছিল তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। যে সব গডফাদারেরা এখনও লুকিয়ে আছে তাদের বিচার করতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি করছি। এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, বিডিয়ার বিদ্রোহে যারা জড়িত ছিল তাদের নাম বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা সিদিন প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত খেয়েছেন। তারপরেও কি বলতে হয় কারা জড়িত ছিল ? বিডিয়ার বিদ্রোহর কয়েক দিনের মধ্যে একজনকে পদান্নতি দিয়ে হত্যায় জড়িতদের উৎসায়িত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই হত্যায় যারা নেপথ্য নায়কদের বের করতে সেনাবহিনীদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। একটি অংশকে লে. জেনারেল জাহাঙ্গির আলমকে (বর্তমানে অবসরে রয়েছেন) দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাদের তদন্তও প্রকাশ করা হয়নি। জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, এই নারকিয় হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এই হত্যার মূল রহস্য এখনও উৎঘাটিত হয়নি। সেনা বাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত করে জড়িতদের নাম জাতীয় পত্রিকায় দেওয়ার দাবি করছি।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.)রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হানিফ, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) সরোয়ার হোসেন, লে.কর্নেল (অব.) মনিরুজ্জামান, লে.কর্নেল (অব.) মনিষ দেওয়ান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment