Social Icons

Monday, February 22, 2016

বাংলাদেশি কলেজ ছাত্রীকে ৩০ হাজার রুপিতে বিক্রি

ঢাকার একটি কলেজের বিকম পড়ুয়া ছাত্রী জুঁই (ছদ্মনাম)। নিজ গ্রামের এক প্রতিবেশী নারী চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিয়ে তুলে দেয় ৩০ বছর বয়সী এক পুরুষের হাতে। ওই ব্যক্তি জুঁইকে কলকাতায় নিয়ে ৩০ হাজার রুপির বিনিময়ে তুলে দেয় আরেক ব্যক্তির হাতে। এরপর থেকেই জুঁই’র জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।

জানা যায়, নিজ গ্রামের এক প্রতিবেশী নারী তার সঙ্গে ভাব জমিয়ে তোলে। সে তাকে লোভ দেখায় মুম্বাইয়ের অভিজাত হোটেলে ভাল বেতনে চাকরির। সেই প্রলোভনে পা দেয় জুঁই। গ্রামের ওই নারীই তাকে নিয়ে যায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। তুলে দেয় ৩০ বছর বয়সী এক পুরুষের হাতে। বলে, সেই তাকে ভারতে নিয়ে যাবে। ওই ব্যক্তির সহায়তায় জুঁই প্রথমে যায় কলকাতায়। সেখানে তাকে তুলে দেয়া হয় আরেক ব্যক্তির হাতে। এই ব্যক্তিই তাকে নিয়ে যায় কলকাতা থেকে কল্যাণীতে। সেখানে জুঁইকে তুলে দেয়া হয় খান নামের এক ব্যক্তির হাতে। এরপরই শুরু হয় জুঁইয়ের জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়। তাকে নামানো হয় দেহ ব্যবসায়। সম্প্রতি মুম্বাই থেকে উদ্ধার করা ২০ বছর বয়সী জুঁইকে মুম্বাইয়ের ভিবান্দি থেকে। গ্রেপ্তার করা হয় এক দম্পতি ও বাংলাদেশি এক এজেন্টকে। তারা হলো শাহিদ ও তার স্ত্রী ডালিয়া আনসারি। বাংলাদেশি এজেন্ট হলো বাবু আলী খান। 

এনজিও রেসকিউ ফাউন্ডেশনের অশোক রাজগর বলেছেন, জুঁইকে দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে দেহ ব্যবসা সাজিয়েছিল গ্রেপ্তারকৃতরা। উদ্ধার হওয়ার পর জুঁই জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সব কাহিনী।

বলেছে, তাকে ৩০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল প্রথম ক্রেতার কাছে। গত বৃহস্পতিবার থানে ক্রাইম ব্রাঞ্চের মানব পাচার বিরোধী সেল ও রেসকিউ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জুঁইকে উদ্ধার করে। এরপরই তিনি জানিয়েছেন, তাকে কয়েকদিন আটকে রাখা হয় ভিবান্দিতে। তারপরই নাগপুরে এক ক্রেতার কাছে তাকে ৩০ হাজার রুপিতে বিক্রি করে দেয়া হয়। নাগপুরে থাকার সময় তাকে বাধ্য করা হয় দেহব্যবসা করতে। এর এক মাস পরে তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় ভিবান্দিতে। রাখা হয় বিভিন্ন স্থানে। নেয়া হয় ড্যান্স বারে। ভিবান্দি বাইপাস, শিল পাটা, মানপাড়া, উল্লাসনগর, থানে ও তালোজায় নিয়ে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। নাচানো হয় ড্যান্স বারে। দেহ ব্যবসার জন্য এ এলাকাগুলোর কুখ্যাতি আছে। সেখানে মাশরুমের মতো গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন লজ ও অবৈধ ড্যান্স বার। এগুলো দেহব্যবসাকে উসকে দিচ্ছে। এসব স্থানে ঘেরাও দেয়া সত্ত্বেও পুলিশ পাচারকারী ও মূল হোতাদের ধরে কালেভদ্রে।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates