টাইগারদের দেয়া ১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২ রানেই উইকেট খু্ইয়ে বসে আরব আমিরাত।
আল আমিনের বলে শূন্য রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওপেনার কালিম।
অন্য প্রান্ত ধরে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন দুই বার জীবন পাওয়া অপর ওপেনার রোহান মোস্তফা। তবে ৫ নম্বর ওভারের শেষ বলে তাকে ১৮ রানে ফেরত পাঠান মাশরাফি।
এর পর মাশরাফির শিকারে পরিণত হন শাইমান আনোয়ার। ব্যক্তিগত মাত্র ১ ও দলীয় ৩৩ রানে তিনি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এ অবস্থায় দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন শেহজাদ। মুস্তাফিজের হাতে বধ হয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানেই ফেরেন তিনি।
উইকেট পেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেন মুস্তাফিজ। তুলে নেন আমিরাতের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান এসপি প্যাটেলকে। শূন্য রানেই ফেরেন তিনি।
এর পর হিট উইকেট হয়ে ফেরেন ৩ রান করে ফেরেন আমজাদ। সাকিব ফেরান ফাহাদ তারিককে শূন্য রানে। আর সাকলায়েনকে ফেরান মাশরাফি।
১৩ ওভার শেষে আমিরাতের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৫৫ রান।
এর আগে সন্ধ্যার আকাশটা রাঙিয়ে আমিরাতের বোলারদের পিটিয়ে বেশ দাপুটে শুরু করেছিলেন সৌম্য ও মিথুন। দুর্দান্ত শুরু স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বড় সংগ্রহের।
তবে নবাগত আরব আমিরাতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেই স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
মিথুনের ৪৭ আর মাহমুদুল্লাহর বড় নটআউট ৩৬ রান ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যক্তিগত বড় স্কোর গড়তে পারেননি। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন দাপুটে খেলতে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকার। মোহাম্মদ শাহজাদের বলে আমজাদ জাভেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২১ রানে (১৪ বল) ফেরেন সৌম্য। এরপর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমান। বিগশট খেলতে গিয়ে ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে এই ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন সীমানায়। শুরুতে দুর্দান্ত খেলতে মোহাম্মদ মিথুন আউট হয়েছেন বাজেভাবে। নিজের ভুলে অর্ধশতক থেকে ৩ রান দূরে থাকতে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। চতুর্থ উইকেট হিসেবে মাত্র ৪ রানে ফেরত যান মুশফিক। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ নাভিদের বলে তিনি আউট হন।
সাকিবের ব্যাাটে যখন এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল তখনই আঘাত হানেন আমজাদ জাভেদ। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১৩ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এর পর ইমরুলের জায়গায় নামা নুরুল হাসানও ব্যর্থ হন। শূন্য রানে আমজাদই ফেরান তাকে। শূন্য রানে ফেরেন মাশরাফিও। হাত খুলে খেলতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছাকাছি ধরা পড়েন তিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একাই লড়ে গেছেন মাহমুদুল্লাহ। তবে শেষ বলে রান আউট হন তাসকিন। করেন মাত্র ১ রান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment