Wednesday, February 24, 2016
যৌন সংসর্গের মাধ্যমে জিকার সংক্রমণ তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য যৌন সংসর্গের মাধ্যমে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ১৪টি ঘটনা তদন্ত করছে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। সংক্রমিতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। বিবিসি বলছে, দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থা যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। কোথাও ভ্রমণ করা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়ার পরই এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ওই রোগী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তি জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করেননি। কিন্তু যার সঙ্গে তার যৌন সংসর্গ হয়েছে তিনি ভেনেজুয়েলা ভ্রমণ করে এসেছেন বলে জানা গেছে। জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন অঞ্চলে ভ্রমণকালে গর্ভকালীন সময়ে যৌন সংসর্গের সময় কনডম ব্যবহার কিংবা সম্ভব হলে যৌন সংসর্গ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি। যদিও আক্রান্ত নারীদের মাধ্যমে সঙ্গীও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন। গেল সপ্তায় বিজ্ঞানীরা ব্রাজিলের গর্ভবতী নারীদের উপর গবেষণা করে জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীর অনাগত সন্তান মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যদিও বিষয়টি এখনও পরীক্ষায় প্রমাণিত নয়। কিন্তু গেল বছর ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবের পর দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়েছে। মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে তাদের মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ছোট থাকে। এই সব শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়। এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার পর জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment