রাজধানীর বেইলি রোডে পাঁচতলা ভবন থেকে ফেলে দেয়া সেই শিশুটি ২৪ দিন চিকিত্সাধীন থেকে মারা গেল। রমনা থানার উপ পরিদর্শক হুমায়ূন কবির জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে হাসপাতালের চিকিত্সকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই হুমায়ূনই গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলেন শিশুটিকে। ভর্তির সময় হাসপাতালের খাতায় শিশুটির নাম লেখা হয়েছিল ‘বেবি অফ বিউটি’। ঠিকানার জায়গায় লেখা হয়েছিল উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ। হুমায়ূন বলেন, “শিশুটিকে ভবন থেকে ফেলে দেবার পর তার পায়ে ইনজুরি হয়েছিল। এছাড়া শরীরে ইন্টারনাল ইনজুরিও ছিল।”
গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনের পঞ্চম তলা থেকে ওই নবজাতককে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পাশের একতলা বাড়ির ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ।
শিশুটিকে উদ্ধারের পর বেইলি রোডের ওই বহুতল ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দুই গৃহকর্মীকে পায় পুলিশ। তাদের মধ্যে এক কিশোরী শিশুটির মা বলেও নিশ্চিত হন পুলিশ সদস্যরা। অসুস্থ অবস্থায় তাকে নিয়ে এসে রাখা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে। ১৭ বছরের ওই কিশোরী সেদিনই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ১০ মাস আগে তিনি কুমিল্লায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ভগ্নিপতির ধর্ষণের শিকার হন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে ভগ্নিপতি অজিত ওরফে নীরবকে আসামি করে মামলা করেন। এহাজারে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তিনি গর্ভধারণ করেন। সামাজিক লজ্জার ভয়ে নবজাতককে বাড়ির বারান্দা থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment