জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি আমাকে জেলে দিয়েছিল। তারা ১৪ বছর ৯ মাস পর আমার বিরুদ্ধে মঞ্জু হত্যার মামলা দিয়েছে। ২৫ বছর ধরে এ মামলা চলছে। যে দলটি আমাকে জেলে পাঠিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব আজ টলটলয়মান। তাদের অস্তিত্ব কেবল টিভিতে একটি বয়ান দেয়া। এর বাইিরে কিছু নেই।
শনিবার বিকালে গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, বিএনপি আমাকে জেলে দিয়েছিল। তারা ১৪ বছর ৯ মাস পর আমার বিরুদ্ধে মঞ্জু হত্যার মামলা দিয়েছে। ২৫ বছর ধরে এ মামলা চলছে। ২৫ বছর একটি মামলা চলতে পারেনা। আমি মুক্ত মানুষ নই, মুক্ত রাজনীতিবিদ নই। যে দলটি আমকে জেলে পাঠিয়েছিল তাদের অস্তিত্ব আজ টলটলয়মান। তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয়না। তাদের অস্তিত্ব কেবল টিভিতে একটি বয়ান দেয়া। এর বাইিরে কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি কোন মানুষের ক্ষতি করিনি, হত্যা করিনি, আমার সময় কোন মানুষ গুম হয়নি। সংবাদপত্র আমার বিরুদ্ধে মুক্তভাবে লিখেছে। কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেইনি। এখন কেউ কিছু লিখতে পারে না, বলতে পারেনা। সব কিছু এখন বন্ধ। আমরা বন্ধ কারাগারে বাস করছি।’
জাতীয় পার্টিতে কোন বিভক্তি নেই দাবি করে এরশাদ বলেন, পার্টির জন্য আমার মতো কষ্ট আর কেউ করেনি। জেলখানায় থেকে সে সময় ৩৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছি। আমি একা ৫টিতে জয়ী হয়েছি। এতে প্রমাণিত হয় আমি নিন্দিত ছিলাম না। আমি নন্দিত ছিলাম।
এরশাদ বলেন, ‘১/১১ কুশিলবদের বিচারের ব্যাপারে বিএনপি-আওয়ামী লীগ এক। মাইনাস টু এর ব্যাপারে বিএনপি আওয়ামী লীগ এক। এখানে মাইনাস থ্রি করা হয়েছিল, সে কথা কেউ বলে না। আমি মাইনাস থ্রির বলি। সে সময় আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকতে পারিনি। পার্টির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছিল ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামকে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে আমার দলের লোক ষড়যন্ত্র করেছিল।’
জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগরের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীনের পরিচালনায় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পার্টির প্রেডিসিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশ্তী, শ্রী সুনীল শুভ রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. আরিফ খাঁন, বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, নূরুল ইসলাম নুরু, জহিরুল ইসলাম, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন।
সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া কে সভাপতি ও জয়নাল আবেদীনকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
No comments:
Post a Comment