তিন বিদেশি শক্তির সমর্থনে বোরকা পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বাকশালী শাসন চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। ‘জনতার ধ্বনি’ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এমন দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোরকা পরে এখন দেশে বাকশালী শাসন চালাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তিনি ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- এই তিন বিদেশি শক্তির সমর্থন নিচ্ছেন। তবে জনসমর্থন না থাকায় শুধু বিদেশি শক্তির সমর্থনে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। কোনো স্বৈরশাসক তা পারেনি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কথা বলে দেশে লুটপাট চালাচ্ছে। পদ্মাসেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ১২ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর তা বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সম্ভাবনা রয়েছে আরও বাড়ার।’
এ প্রসঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানে রাস্তা নির্মাণে ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতে প্রতি কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ব্যয় হয় ৯ কোটি টাকা আর পাকিস্তানে ১৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে আমাদের ঢাকা-মাওয়া রুটে প্রতি কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ৮৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই লুটপাটের জন্য সরকারকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হান্নান শাহ বলেন, ‘ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভুতভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। তবে একদিন এমন সময় আসবে যখন আপনাদেরকে দেশবাসীর কাছে প্রতিটি ক্রসফায়ারের হিসাব দিতে হবে।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল জাতীয় সম্পদ দিল্লীর কাছে বন্ধক রেখেছেন। সেই কৃতদাসী হাসিনার কাছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কখনোই মাথা নতো করবেন না।’
দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি জাতীয় ঐক্য। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। সে জন্য অনন্ত দম লাগবে। কারণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ক্ষণস্থায়ী, দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্তকালব্যাপী হয়।’
‘জনতার ধ্বনি’র সভাপতি মর্জিনা আফসার রোজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, বিএনপি নেতা ওসমান গণি, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment