সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন নিরাপরাধ যুবককের ঘরে ইয়াবা রেখে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন।
অবশ্য বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে সেই ঘুষের টাকা ফিরিয়ে দেয়া হয়।
উপজেলার আসানবাড়ি গ্রামের ভুক্তভোগী যুবক মামুন হোসেন জানান, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তাড়াশ থানার এসআই আল-মামুন সোর্স হাফিজুরকে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ডাকতে থাকেন। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় লাথি দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশিতে কিছু না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় সোর্স হাফিজুর ঘরের দরজার পাশে খোঁজাখুজি করে বলে, 'স্যার কয়েকটি ইয়াবা পেয়েছি।'
এ ঘটনায় মামলার ভয় দেখিয়ে তারা মামুন হোসেনের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তারা ৩০ হাজার টাকা নেন। বাকি ১০ হাজার টাকা পরে দেয়ার শর্তে তারা চলে যান।
স্থানীয়রা জানায়, মামুন হোসেনের আপন ভগ্নিপতি পুলিশের সোর্স হাফিজুর। পারিবারিক দ্বন্দ্ব থাকার কারণে পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে দিয়ে এই নাটক সাজায় হাফিজুর।
ভুক্তভোগী মামুনের খালা জয়বন বেগম শনিবার বিকালে বলেন, 'ঘুষের বিষয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর দুপুরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তাড়াশ থানা পুলিশ বাড়িতে এসে ঘুষের ৩০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। টাকা ফেরত পাওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের আর কোনো অভিযোগ নেই।'
রায়গঞ্জ সার্কেলের এএসপি মোতাহার হোসেন বলেন, পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি জানতে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। সোর্স হাফিজুর পুলিশের ভয় দেখিয়ে যুবক মামুনের কাছ থেকে যে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল তা ওই পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে এসআই আল-মামুনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment