আগে অনুষ্ঠিত দুটি বাছাইয়ে হিলারি ও ট্রাম্প দু'জনই একটিতে জয়ী, অন্যটিতে পরাজিত হয়েছিলেন। ফলে শনিবারের এ বাছাই তাদের জন্য অগি্নপরীক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছিল। বড় ব্যবধানেই এ পরীক্ষায় জয়ী হন দু'জন। এ বিজয় আগামী ১ মার্চ অনুষ্ঠেয় 'সুপার টিউসডে'তে হোয়াইট হাউসের মনোনয়ন দৌড়ের অন্যতম প্রধান ধাপের পথে একটা বিরাট অগ্রগতি। এদিন ১২টি রাজ্যে বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। নেভাদায় ডেমোক্রেটিক দলীয় ককাসে প্রায় ৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি এ বাছাইয়ে পেয়েছেন ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট। আর স্যান্ডার্স পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। জয়ের পর লাসভেগাস উপত্যকায় কায়েসার্স প্যালেসে ভাষণদানকালে হিলারি বলেন, 'এটা আপনাদের প্রচারের ফলে হয়েছে। আপনাদের প্রচার সব বাধা ভেঙে দিয়েছে।' স্যান্ডার্স জয়ী হিলারিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেন, ভোটের ব্যবধান উল্লেখযোগ্যভাবে কম হওয়ায় তিনি গর্বিত। নেভাদায় জনমত জরিপে অনেক পিছিয়ে ছিলেন স্যান্ডার্স। কিন্তু ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ভোটের ব্যবধান কমিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। জাতি, বর্ণ ও ধর্মীয় বৈচিত্র্যের রাজ্য নেভাদায় হিলারি নারী ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোট বেশি পেয়েছেন। তবে সেখানকার অভিবাসী ভোটাররা ব্যাপকভাবে ভোট দিয়েছেন স্যান্ডার্সকে।
অভিবাসী ও তরুণ ভোটারদের মধ্যে স্যান্ডার্সের জনপ্রিয়তা হিলারিকে পুরো বাছাই পর্বজুড়ে তাড়া করবে- এমন ধারণাই এখন প্রকট হয়ে উঠছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় দলের পরবর্তী বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি আইওয়ায় দলীয় ককাসে স্যান্ডার্সের বিপক্ষে খুবই সামান্য ব্যবধানে জয় পান হিলারি। তারপর ৯ ফেব্রুয়ারি নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যে বাছাইয়ে স্যান্ডার্সের কাছে হিলারির ভরাডুবি হয়।
অন্যদিকে, সাউথ ক্যারোলিনায় ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কো রুবিও পেয়েছেন ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং টেড ক্রুজ পেয়েছেন ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট। আর জেব বুশ পেয়েছেন মাত্র ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট। এর পরই তিনি নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
জয়ের পর ট্রাম্প তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। উল্লসিত সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পণ্ডিতদের ধারণা পাল্টে দিয়ে তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার মহত্ত্ব ফিরে পাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর কিছুতেই জয়লাভ করতে পারে না। তার জয়যাত্রার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেরও জয়যাত্রা শুরু হবে। রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নেভাদা অঙ্গরাজ্যে আগামী মঙ্গলবার দলীয় ককাসে পরবর্তী লড়াইয়ে নামবেন। আইওয়ায় রিপাবলিকান ককাসে সিনেটর টেড ত্রুক্রজের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপরই নিউ হ্যাম্পশায়ার বাছাইয়ে জয়ের ধারায় ফেরেন ট্রাম্প।
No comments:
Post a Comment