আবার কিছু হলুদ সাংবাদিক আছে, যারা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে।
আজ আমরা এমন একজনকে আপনাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিব।
সরদার বাদল খান -নারায়ণগঞ্জ এর তামাক পট্টি যিনি বুক ফুলিয়ে গুড়ে বেরাচ্ছেন। আসলে বাদল খান কোন সাংবাদিক নন ।সাংবাদিকতা করতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন তা নেই তার। বাংলাদেশের সব এলাকা তার জন্য উন্মুক্ত । বেশ কিছু সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও দৈনিক পত্রিকার পরিচয় পত্র বানিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন। তার মূল কাজ হল দেশের সব ইটের ভাটা, মুড়ির কারখানা, বেকারি কারখানা, আবাসিক হোটেল যেখানে পতিতাদের আনাগোনা,গারমেন্স সহ বিভিন্ন স্পট থেকে চাঁদা আদায় করা। আর যদি চাঁদা দিতে না চায় তারা ,তাহলে বাদল খান তাদের বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন।
নারায়ণগঞ্জ এর এক মুড়ি কারখানার মালিক ওয়ার্ল্ড নিউজ বি বির সংবাদ কর্মীকে জানান বাদল খান প্রতি সপ্তাহে তার কাছ থেকে ৫০০০/= টাকা চাঁদা নেন। মুড়ি কারখানার মালিক তাকে প্রথম আলোর সাংবাদিক হিসেবে চেনে।কারন বাদল খান কখনো নিজেকে বিবিসি,সিএনএন,বিটিভি,আর টিভি,এটিএন এর সাংবাদিক দাবি করে।আবার কখনো বাংলাদেশের বিভিন্ন নামকরা দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক দাবি করেন। বাস্তব কথা হল বাদল খান টাকা দিয়ে কিছু ভুয়া পরিচয় পত্র বানিয়ে তা দিয়ে চাঁদা বাজি করেন।আসলে সে কোন সংবাদ কর্মী নন।
এক সূত্র মতে বাদল খান নিয়মিত বিভিন্ন গার্মেন্টসে যাতায়েত করেন,আর সেখান থেকে কিছু অসহায় গার্মেন্টসের মেয়ে কর্মী কে মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে ভাল কাজ দিবে বলে নিয়ে এসে নিশিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেন।
সাভার এর এক ইটের ভাটার মালিক নুরুল ইসলাম আমাদের সংবাদ কর্মীকে জানান-বাদল খান তার কাছে নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৫০,০০০/= টাকা চাঁদা আদায় করে। আর চাঁদা না দিলে ক্রস-ফায়ার মারার হুমকি দেন।
বাদল খান এর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্ব-- চলবে
No comments:
Post a Comment