প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য করে আদালত অবমাননা করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রীর আইনজীবী মামুন মাহবুব।
একই সঙ্গে দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সময় আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী।
এর আগে সকালে আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘আজ আমরা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট শাখায় জবাব দাখিল করব। আগামীকাল মঙ্গলবার আদালত অবমাননার শুনানি হবে।’ তিনি বলেন, লিখিতভাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আদালতের কাছে ক্ষমা চাইবেন।
উচ্চ আদালত নিয়ে মন্তব্য করায় আগামীকাল (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় দুই মন্ত্রীকে আদালতে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেদিন আদালত বলেন, বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করা স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলেও এক মন্ত্রী পরামর্শ দেন।
একই সঙ্গে মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানান দুই মন্ত্রী।
No comments:
Post a Comment