নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দ্বিতীয় মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে র্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদের আবেদনের ওপর মঙ্গলবার আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও আমির হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে দিন ধার্য করে দেন। এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে বিব্রত বোধ করেন। পরে প্রধান বিচারপতি আবেদনটি শুনানির জন্য ওই বেঞ্চে পাঠান।
আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।
সাত খুনের অন্যতম আসামি তারেক সাঈদের এই আবেদন ৭ মার্চ বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের আদালতে তোলা হলে একজন বিচারক 'বিব্রত' বোধ করেন। নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দেন।
সেদিন তারেক সাঈদের আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া জানান, সাত খুনের ঘটনায় যে দু’টি মামলা হয়েছিল, তার মধ্যে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের করা মামলা বাতিল চেয়ে তারা এ আবেদন করেছেন।
ওই ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি মামলা করার ১২ দিন পর বিজয় কুমারের মামলাটি হয়। একই ঘটনায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা চলতে পারে না। এই যুক্তিতে দ্বিতীয় মামলাটি বাতিল চাওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment