রিজার্ভের অর্থ লোপাটের ঘটনায় তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখে করে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এ্রর আগে সকালে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অপেক্ষা করছি, প্রধানমন্ত্রী কী বলেন। আমি পদত্যাগ করলে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভালো হয়, দেশের ভালো হয়, তাহলে পদত্যাগ করতে আমার দ্বিধা নাই। পদত্যাগপত্র লিখে বসে আছি আমি।’
এত বড় একটা ঘটনা কেন সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই এটা গোপন রাখা হয়েছে। হ্যাক হওয়া টাকার যে অংশ ফেরত আনা গেছে, আগে জানালে হয়তবা সেটাও করা যেত না।’
এদিকে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর ডাকা জরুরি সংবাদ সংম্মেলন পেছানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনটি হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটায় এ সংবাদ সম্মেলন হবে।
ফিলিপিন্সের ডেইলি ইনকোয়ারারে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার লোপাটের খবর এলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। তদন্তে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে হ্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে ফেলা হয়।
শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে আরো ২০ মিলিয়ন ডলার সরানো হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক শুরুতেই বিষয়টি টের পেলেও কর্মকর্তারা তা গোপন করে যাওয়ায় অর্থমন্ত্রী মুহিতকে এক মাস পর তা পত্রিকা পড়ে জানতে হয়।
অর্থ লোপাটের বিষয়টি চেপে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেভাবে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে তাকে ‘অযোগ্যতা’ আখ্যায়িত করে ‘ক্ষুব্ধ’ মুহিত রবিবার বলেছিলেন, এই ‘স্পর্ধার’ জন্য ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে’। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন মুহিত।
No comments:
Post a Comment