Social Icons

Monday, May 16, 2016

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি বিজ্ঞান

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি বিজ্ঞানরোজিনা আক্তার মহুয়া, শিক্ষক ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

অধ্যায়-৪ : 

খাদ্য ও পুষ্টি

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর পড়াশোনায় তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আজকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে অধ্যায়-৪-এর খাদ্য ও পুষ্টি।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর :

প্রশ্ন : সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর : যেসব খাদ্যে দেহের পুষ্টি, বৃদ্ধি, শক্তিলাভ প্রভৃতির জন্য প্রয়োজনীয় সবক'টি খাদ্য উপাদান যেমন_ শ্বেতসার, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি সঠিক পরিমাণে থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলে। সুস্থ দেহ, সবল দেহ ও কাজ করার শক্তির জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য।

প্রশ্ন : তিনটি প্রাণীজ আমিষের নাম লিখ।
উত্তর : আমিষ দেহের গঠন, ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে থাকে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় আমিষ উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে পেয়ে থাকি। তিনটি প্রাণীজ আমিষের নাম হলো_ মাছ, মাংস, ডিম।

প্রশ্ন : রাতকানা রোগের কারণ কী?
উত্তর : সব ধরনের হলুদ ফলমূল ও সবুজ শাক-সবজি থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'এ' পেয়ে থাকি। এসব শাক-সবজি ও ফলমূল সঠিক পরিমাণে না খেলে দেহে ভিটামিন 'এ'-এর অভাব দেখা দেয়। ফলে রাতকানা রোগ হয়। দেহে ভিটামিন 'এ'-এর অধিক ঘাটতি হলে মানুষ অন্ধও হয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন : রিকেটস রোগের লক্ষণগুলো লিখ।
উত্তর : ভিটামিন 'ডি'-এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো_
১। শিশুরা হাঁটাচলায় অনীহা প্রকাশ করে।
২। হাঁড় শক্ত ও মজবুত হয় না।
৩। অনেক সময় শিশুদের হাড় বেঁকে যায়।

প্রশ্ন : খাদ্য কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমরা যা খাই, তা-ই খাদ্য। খাদ্য উপাদানের গুণাগুণ বিচার করে একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন_ শর্করা, আমিষ ও স্নেহজাতীয় খাদ্য। এ তিন ধরনের খাদ্য আমাদের দেহে গঠন, ক্ষয় পূরণ, বৃদ্ধি সাধন করে ও শক্তি জোগায়।
এ ছাড়া খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি হলো আরো তিন ধরনের খাদ্য উপাদান। এ উপাদানগুলো দেহকে রোগমুক্ত ও সবল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর :

প্রশ্ন : আমাদের দেহে পানি এত প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর : আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তা পরিপাকের জন্য পানি একটি অতি প্রয়োজনীয় ও প্রধান উপাদান। পানি খাবার হজম করতে ও দেহ থেকে ঘাম ও মূত্রের মাধ্যমে ক্ষতিকর পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। পানি কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আমাদের দেহের সব কাজ পানি ছাড়া সঠিকভাবে চলে না। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই, তাতে প্রচুর পানি থাকে। তবে আমাদের প্রতিদিন ছয়-সাত গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। তাই বলা হয়, পানির অপর নাম জীবন।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates