পেলে ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড়। তাঁর পূর্ণ নাম এদসন আরাঁতেস দো নাসিমঁতু (Edison Arantes do Nascimento)। ব্রাজিলেরহয়ে তিনি ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
তিনি ব্রাজিলের জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনবার বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার।
জাতীয় দল ক্যারিয়ার
পেলে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন ১৯৫৭ সালের ৭ জুলাই মারাকানায়, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ২-১ ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচে ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে ব্রাজিলের পক্ষে প্রথম গোল করে পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার স্থান দখল করেন।
ফিফা বিশ্বকাপ
১৯৫৮ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে পেলে তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলেন। ১৯৫৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের সেই ম্যাচটা ছিল প্রতিযোগিতার তৃতীয় খেলা। সেই বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ (এবং তখন পর্যন্ত যেকোন বিশ্বকাপ খেলায় সর্বকনিষ্ঠ) খেলোয়াড় পেলের সতীর্থ ছিলেন গ্যারিঞ্চা, যিতো এবং ভাভা। ওয়েলসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে করা গোলটি ছিল প্রতিযোগিতায় পেলের প্রথম এবং সেই ম্যাচের একমাত্র গোল, যার সাহায্যে ব্রাজিল সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। ম্যাচের সময় পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন, বিশ্বকাপের গোলদাতাদের মধ্যে সবচেয়ে কম .
১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপ
১৯৬৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ের ১ম খেলায় বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ী হলেও হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে ২য় খেলায় ব্রাজিল হেরে যায়।এর পূর্বে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে জয়ী হলেও তিনি গুরুতর আঘাত পান। তারপরও কোচ ভিসেন্তে ফিওলা সকলকে আশ্চর্যান্বিত করে গ্রুপের শেষ খেলায় পর্তুগালের বিপক্ষে পেলেকে মাঠে নামান। তিনি পুরো রক্ষণভাগ পরিবর্তন করে ফেলেন। এমনকি গোলরক্ষকও বাদ পড়েননি। আক্রমণভাগে তিনি জায়ারজিনহো এবং পরিবর্তিত দু'জন খেলোয়াড়কে দেন। মধ্যমাঠে তিনি প্রথম খেলার ন্যায় সাজান। যদিও তিনি জানতেন যে, পেলে তখনো তাঁর মারাত্মক জখমকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপ
১৯৭০ সালের আগের বিশ্বকাপের ব্যর্থতা মুছে ফেলে আবারও শিরোপা জিতে নেয় ব্রাজিল। টানা চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিরই ট্রফি ওঠে তাদেরই হাতে। পেলে খেলেন তাঁর চতুর্থ বিশ্বকাপের শেষটি। প্রতিটা ম্যাচে গোল করেন জেয়ারজিনহো। ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দেয় ‘ক্যাপ্টেন’ কার্লোস আলবার্তো। দল তিনবার শিরোপা জেতায় জুলে রিমে ট্রফিটা একেবারেই দিয়ে দেওয়া হয় ব্রাজিলকে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের পর নিজেকে সর্বকালের সেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেন পেলে।
পরিবার
পেলের অন্যতম সন্তান এডসন চলবি দো নাসিমেন্টো 'এডিনহো' একজন ফুটবলার ছিলেন। তিনি মূলত গোলরক্ষকের ভূমিকায় খেলতেন। ২০০৫ সালে মাদকদ্রব্য পাচার সংক্রান্ত অভিযোগে জড়িয়ে তিনি গ্রেফতার হন।
| ব্যক্তিগত তথ্য | |||
|---|---|---|---|
| পূর্ণ নাম | এডসন অঁরাতেস দো নাসিমঁত | ||
| জন্ম | ২১ অক্টোবর ১৯৪০ | ||
| জন্ম স্থান | ত্রেস কোরাকোয়েস, ব্রাজিল | ||
| উচ্চতা | ১.৭৩ মি (৫ ফু ৮ ইঞ্চি) | ||
| মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড[ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার | ||
| তারূণ্যের কর্মজীবন | |||
| ১৯৫৩–১৯৫৬ | বাউরু | ||
| বলিষ্ঠ কর্মজীবন* | |||
| বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† |
| ১৯৫৬–১৯৭৪ | সান্তোস | ৬৩৮ | (৬১৯) |
| ১৯৭৫–১৯৭৭ | নিউইয়র্ক কসমস | ৫৬ | (৩১) |
| মোট | ৬৯৪ | (৬৫০) | |
| জাতীয় দল | |||
| ১৯৫৭–১৯৭১ | ব্রাজিল | ৯২ | (৭৭) |
| * পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগের জন্য গণনা করা হয়েছে। † উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। | |||


No comments:
Post a Comment