কোনো অপরাধী ধরা পড়লে রিমান্ড থেকে সে জেলখানায় ফেরত যায় না, ক্রসফায়ারে চলে যায়, কীভাবে যায়? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে ‘দিলকুশা’ হলরুমে ইফতার-পূর্ব বক্তব্যে শনিবার তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘কোনো অপরাধী ধরা পড়লে সেই স্বীকার করে, জানি না সে আপরাধ করছে কী না। সেই অপরাধীকে ধরা হলে জেলে নিয়ে যায়। তারপর রিমান্ডে। রিমান্ড থেকে সে জেলখানায় ফেরত যায় না, আর মা-বাবার কাছে ও ফেরত যায় না। সে সোজা চলে যায় ক্রসফায়ারে।’
তিনি বলেন, ‘এর উদ্দেশ্যটা কী সে (অপরাধী) এমন কিছু তথ্য দিয়ে দেয়, যাতে সরকার জড়িয়ে পড়বে। তাই তাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়। এই পবিত্র রমজান মাসেও ক্রসফায়ার হচ্ছে।’
কয়েক বছরেও সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর পেছেনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। সাগর-রুনির সত্যিকারের হত্যাকারীদের ধরা হলে সত্য জিনিস বের হয়ে আসবে। সরকারের যে অপকর্ম-চুরি দুর্নীতির যে রেকর্ড ছিল তাদের কাছে। সেটা যে তাদের (সাগর-রুনি) ল্যাপটপে ছিল। সেই ল্যাপটপ চুরি করেছে আর কোনো জিনিস চুরি করে নাই।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে এরা জনগণের প্রতিনিধি নয়। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বিনা ওয়ারেন্টে সাদা পোশাকে কাউকে ধরতে পারে না। রাতের বেলায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না। এরা আজকে আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানে না। উল্টো কোর্টকে নির্দেশ দেয় তাদের কি করতে হবে কী করতে হবে না।’
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘দেশে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা এই থেকে বুঝতে পারি, মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য আমাদের নেই, গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, সকলের সমান অধিকার, মানুষের নিরাপত্তা কোনোটাই নেই।’
আজকে মনে হয়, বাংলাদেশে যিনি বসে আছেন তিনি কোনো প্রধানমন্ত্রী? না-কী অন্য কোনো মন্ত্রী হিসেবে বসে আছেন কীনা? তিনি প্রধানমন্ত্রী নয়, তিনি নির্দেশ পালন করেন তাকে আর প্রধানমন্ত্রী বলা যায় না।


No comments:
Post a Comment