Social Icons

Saturday, June 18, 2016

ফাহিমকে খুন করে প্রমাণ আড়াল করছে সরকার : ইমরান এইচ সরকার

একদিকে সিরিয়াল খুনিদের সাজা মওকূফ করা হচ্ছে, অন্যদিকে জনতার হাতে ধরা পরা টার্গেট কিলারদের খুন করে প্রমাণ আড়াল করা হচ্ছে।
মাদারীপুরে শিক্ষকের ওপর হামলার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ফেসবুকের একটি পোস্টে এমন কথা লিখেন।
শনিবার বিকালে প্রকাশ করা এই পোস্টে তিনি লিখেন, “একদিকে সরকার নিজ দলীয় সিরিয়াল খুনিদের ফাঁসিসহ সকল সাজা মওকূফ করে দিয়ে জেল থেকে মুক্ত করছে। অন্যদিকে জনতার হাতে ধরা পরা টার্গেট কিলারদের খুন করে সব প্রমাণ আড়াল করছে! তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এর নাম কি ন্যায়বিচার? এটাই কি ৩০ লাখ মানুষের রক্তে অর্জিত আমার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ “
এর আগে একটি পোস্টে ক্ষমতাসীন দলের নিজস্ব খুনিদের একটা করে খুনের লাইসেন্স বিলি করতে বলেছেন ইমরান এইচ সরকার।
লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের পুত্র বিপ্লবকে জেল থেকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে ওই পোস্টটি প্রকাশ করেন তিনি। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বিপ্লবকে ২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ক্ষমা করে দেন। বর্তমানে তিনি শিবির নেতা মহসিন ও যুবদল নেতা ফিরোজ হত্যা মামলায় কারাভোগ করছেন ।
এ প্রসঙ্গে ইমরান লিখেছিলেন, “আমি একটা অনুরোধ করি, এভাবে কষ্ট করে আপনাদের ক্ষমা করার দরকার নাই। মগের মুল্লুকের রাজাদের কষ্ট হোক সেটা আমরা চাই না। প্রয়োজনে আপনারা নিজস্ব খুনিদের একটা করে লাইসেন্স বিলি করুন। খুনের লাইসেন্স ।হ্যাঁ, খুনের লাইসেন্স!! এই লাইসেন্সধারীরা খুন করলে কোনো মামলাই করার দরকার নাই।”
শনিবার প্রকাশ করা পোস্টে তিনি লিখেন, “খুন যেই করুক না কেন, সে খুনি। জঙ্গী করুক, সন্ত্রাসী করুক কিংবা রাষ্ট্র করুক; সে খুনি। এখানে তবে-কিন্তুর কোনো অবকাশ নেই। একজন বোধ-বিবেচনা সম্পন্ন মানুষের কোনো খুনই সমর্থনের সুযোগ নেই।
কোনো খুনি কিংবা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের ৩০ লক্ষ মানুষ আত্মত্যাগ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে খুনি কিংবা নিপীড়ক রাষ্ট্র নয়। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে পরিস্কারভাবেই ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে।
একজন খুনিকে হত্যার মধ্যদিয়ে সবচেয়ে বেশী অবিচার করা হয় খুন হওয়া মানুষগুলোর স্বজনদের সাথে। কেননা, অপরাধীকে খুনের মাধ্যমে পরিবারটির ন্যায়বিচার পাবার আর কোনো সম্ভাবনাই থাকে না।
হাতেনাতে আটক হওয়া খুনিকে হত্যার আরো গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, এইসব খুনির বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকে এবং ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হ্য়। বরং এইসব ক্ষেত্রে চলমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের সুযোগ থাকে। তাহলে প্রশ্ন আসে ঠিক কি কারনে তাহলে এমন অপরাধীকে হত্যা করা হলো? কাকে আড়াল করতে এই হত্যাকাণ্ড?

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates