ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরাইলের আগ্রাসী নীতি এখন মার্কিন সুশীল সমাজেও আলোচিত হচ্ছে। এনিয়ে সেখানেও পক্ষে-বিপক্ষে রীতিমতো রুটিনমাফিক বিতর্ক হচ্ছে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের ইসাম ফারেস ইন্সটিটিউটের সিনিয়র পাবলিক পলিসি ফেলো রামি জি খৌরির লেখায় বিষয়টি ফুটে ওঠে। -আল জাজিরা।
রামি জি খৌরি বলেন, মাঝেমাঝে আমাদের সামান্য পরাজয় জয়ের পথকে প্রশস্ত করে। গত সপ্তাহে আমেরিকার নৃ-বিজ্ঞান সমিতি ইসরাইলি ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করে যেখানে ফিলিস্তিনিরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ওই সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা প্রকারান্তরে ফিলিস্তিনিদের ওপর একটা শোষণ নীতি চালানোরই নামান্তর। এ নিয়ে তিন বছরের টাস্ক ফোর্সের এক গবেষণায় বলা হয়েছে,পশ্চিম তীর,পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে সীমিত স্বাধীনতা ভোগ করছে তারা। স্বাস্থ্য এবং মানবিক কল্যাণে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। ইসরাইলের এই ভূমিকা নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও সত্যিকার অর্থে এর কোনো কূল-কিনারা হচ্ছে না। এ নিয়ে বিশ্বনেতাদের ইসরাইলের ভূমিকার বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হলেও আসলে কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সুশীল সমাজেও আলোচনা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে তারা ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন উভয়ের জন্যই ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলেন। অধিকাংশ মার্কিনিই ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের সঠিক সমাধান চান। গত চারবছরে এক ডজনের মতো আমেরিকান চার্চ, ইউনিয়ন এবং একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন ইসরাইলি ওই সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে ভোট দেয়। তবে একটা সময় ছিল এ বিষয় নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলা যেত না। এ শতকের মাঝামাঝিতেই তেমনটা ছিল। কিন্তু দিন অনেকটা বদলে গেছে। এখন অনেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে। রামি জি খৌরি বলেন, বিষয়টি এখন অনেক খোলামেলা হয়েছে। প্রথমদিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইসরাইলের নীতি নিয়ে খোলামেলা কোনো কথা বলা যেত না। কিংবা অনেকে তা থেকে বিরত থাকতো। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু এর পক্ষে কাঙ্ক্ষিত ভোট পড়েনি। তিনি বলেন, আমরা আশা করি একসময় সব পরিস্থিতি ঠিক হয়ে আসবে এবং ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরে আসবে।


No comments:
Post a Comment