অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ পরকীয়া প্রেম – নতুন কথা নয়। সৃষ্টির গোড়ালগ্ন থেকেই এটা মানবজাতির জীবনে কোন না কোন ভাবেই ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তারই জের ধরে আজকাল প্রায়ই শোনা যায়, অনেকেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ( অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ পরকীয়া প্রেম) জড়িয়ে পড়ছেন। এতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তৈরি হচ্ছে নানা জটিলতা। বিশ্বায়নের এই যুগে এ ধরনের বৈরি বাতাস থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার উপায় খুঁজতে দেখা যায় অনেককেই। কেননা এ ধরনের অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এলেই ঘনিয়ে ওঠে বিপদ।
এমনটি হলে সাংঘাতিক প্রতিঘাত বয়ে বেড়াতে হতে পারে জীবনে। কখনো কখনো ভেঙে যাওয়া বিশ্বাসকে কোনোভাবেই জোড়া লাগানো যায় না। আমি এখানে এমন কিছু বিষয় আপনাকে জানাতে চাই যা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ( অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ পরকীয়া প্রেম) থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
যে কারণে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন অনেকেই
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষের জীবনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ঘটে তাদের বিবাহিত জীবনে আবেগ ও রোমান্সের ঘাটতি রয়েছে। সুতরাং আপনিও খুঁজে দেখুন, কোনো কারণে আপনি নিজেকে অসহায় ভাবছেন কিনা। এ ধরনের কোনো অনুভূতি হয়ে থাকলে স্বামী-স্ত্রীরা পরস্পরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। দেখুন আপনাদের জুটির মধ্যে কোনো সমস্যা দানা বাঁধছে কিনা। মনে রাখতে হবে বিশ্বাস, কঠিন শ্রম, সহনশীল মানসিকতা, কমিটমেন্টই সম্পর্কের ভিত্তি। এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে বিবাহিত জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি।
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর
ইদানিং দেখা যায়, কাজের জায়গাতেই অনেকের সঙ্গে অনেকের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। পরিবারহীন অফিস টুরে গিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার উদাহরণ প্রচুর। সেখানে কাজের ফাঁকে অবসর মেলে। সেটাই ঘনিষ্ঠতার সুযোগ করে দেয়। এ সব ক্ষেত্রে নিজের বিবাহিত স্ট্যাটাসের কথাটা মনে রাখা উচিত। মনে রাখা উচিত, কারও প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা আছে। নিজের সীমা সম্বন্ধে সতর্ক থাকুন। সহকর্মীর সঙ্গে পেশাগত সম্পর্কটাই বজায় রাখুন।
এখন সামাজিক যোগাযোগ (তথ্যপ্রযুক্তি) মাধ্যমের যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারটা অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে। সব কিছু হাতের মুঠোয়। যে কোনো মানুষকে ইমপ্রেস করতে পারলে সহজেই তাকে ছোঁয়া যায়। অনলাইন সাইটে চলে অবিরত কথা বলা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে এটাও একটা অধ্যায়। সেখানে কিছু হলে, স্বামী বা স্ত্রীর থেকে সম্পর্ক গোপন করাটাই হবে বিরাট বড় ভুল। মনে রাখবেন, অনলাইনে কোনো কিছু ট্র্যাক করা সবচেয়ে সহজ। তাই পনেরো, ষোলো বছরের কিশোর কিশোরীদের মতো ভুল করা চলবে না।
আছে সমাধানের রাস্তাও
এমন কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আগে নিজে কী চাইছেন, জীবনসঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নিন। নিজেদের মধ্যে শান্তভাবে আলোচনা করুন। সমাধান পেলেও পেতে পারেন। বিয়েটা অন্তত ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে। মনে রাখুন সম্পর্ক ভেঙে ফেলা খুব সহজ। কিন্তু সেটাকে আজীবন জোড়া লাগিয়ে রাখা খুব কঠিন।
বিবাহিত জীবনে প্রেম ভালোবাসার তল্লাশি না চালিয়ে, একটু কষ্ট করে দেখুন না। জীবনসঙ্গীর কাছেই হয়তো পেয়ে যাবেন অমূল্য ভালোবাসার পরশপাথর। হয়তো মিলবে রোমাঞ্চের নতুন ঠিকানাও। ধন্যবাদ ……. ভাললাগলে শেয়ার করুন।
No comments:
Post a Comment