ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) থাকা নিয়ে ব্রিটেনের 'ব্রেক্সিট' গণভোট হবে আজ বৃহস্পতিবার। ২০১১ সালের দেশটিতে শেষ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেবার অবশ্য গণভোটের বিষয় নিয়ে এতটা বিভক্তি দেখা যায়নি ব্রিটিশদের মধ্যে। কিন্তু ইইউতে থাকা, না থাকাকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ বিভক্ত এখন ব্রিটেন।
১৯৭৩ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ ক্ষমতায় থাকার সময় যুক্তরাজ্য তখনকার ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক কমিউনিটিতে (ইইসি) যোগ দেয়। ব্রিটেন ইইসিতে যাবে কি না- সে প্রশ্নে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৯৭৪ সালে লেবার পার্টি হিথের কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে। ১৯৭৫ সালের ৫ জুন সেই গণভোটে ৬৭ শতাংশ ভোটার ইউরোপিয়ান কমন মার্জেটে থাকার পক্ষে রায় দেয়।
ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা- সে সিদ্ধান্ত নিতে ৪১ বছর পর আবারো গণভোটে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেন ইউরোপীয় সিঙ্গেল কারেন্সি এলাকা অর্থাৎ ইউরোজোনে যোগ দেবে কি না- সে প্রশ্নে ১৯৯২ সালে গণভোট করার চাপ ছিল যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে গণভোটের তেমন প্রয়োজন নেই- এমন যুক্তিতে সেবার ভোট এড়ানো সম্ভব হয়।
এদিকে যুক্তরাজ্যের এই গণভোটের আগে 'ভোট রিমেইন' পক্ষের সমর্থক লেবার এমপি জো কক্স খুন হওয়ার ঘটনায় তিন দিন প্রচার বন্ধ রাখলেও রবিবার থেকে আবারো প্রচারে নেমেছে দুই পক্ষ।
গত কয়েক মাসে ভোটের লেখচিত্র বার বার পাল্টে গেছে। কখনও ব্রেক্সিটের পক্ষের সমর্থকরা এগিয়ে থাকলেও কিছুদিন পর হয়তো এগিয়ে গেছে বিপক্ষের সমর্থকরা। শেষ সময়ে এসে জনমত জরিপে দুই পক্ষ ছুটছে একেবারে কাঁধে কাঁধ ছুঁয়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোটের ফল যাই হোক, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাক বা না থাক, এই ভোটের প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। ব্রিটেনের আগামী প্রজন্ম, আগামী দিনের রাজনীতিও হয়ত পাল্টে দেবে এই ভোট।
No comments:
Post a Comment