ব্রাজিলের সাম্বা নাচের কথা তো সবারই শোনা। কেউ কেউ হয়তো ইউটিউবে বা টিভিতে দেখেও নিয়েছেন। কিন্তু ব্রাজিলের কোনো কার্নিভালে যদি যান তাহলে বুঝতে পারবেন আয়োজনটা আসলে কত বড়। ব্রাজিলের প্রতিটি বড় শহরে কার্নিভাল উপলক্ষে থাকে আলাদা আয়োজন। ব্রাজিলের কার্নিভালগুলো ধর্মীয় আয়োজনের সাথে একাত্ম। সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা থাকে রাজধানী রিয়ো-এর কার্নিভালকে ঘিরে। ফেব্রুয়ারি হচ্ছে কার্নিভালের উপযুক্ত সময়। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। আর সে সময়ে না পারলে ডিসেম্বরে যেতে পারেন, নিউ ইয়ারের আগে আগে জমজমাট থাকে ব্রাজিল।
এবারের কার্নিভাল উপলক্ষে ব্রাজিল তাদের ভিসা নীতি সহজ করেছেন । এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে কার্নিভাল দেখতে আগ্রহী পর্যটকদেরি ব্রাজিল এমব্যাসিতে ভিসার জন্য আবেদন করার ভিড় ।
তবে টুরিস্ট ভিসা যারা সহজে পেতে চান -কনফার্ম হোটেল বুকিং সাথে একজন ব্রাজিলিয়ান নাগরিক এর ইনভাইটেশন অবশ্যই জমা দিবেন ।আর প্রবাসীরা তাদের স্বজনদের ইনভাইটেশন দিলে তারাও সহজে ভিসা পাবেন।
ভিজিট ভিসা ফর মিটিং এন্ড সাইট সিং
৬ মাসের ব্যাংক স্টেটম্যান্ট, ব্যাংক সলভেন্সি লেটার, অফিস লেটার আপনার পদবী বেতন, কতদিন হল জবে আছেন বা ব্যবসাতে আছেন উল্লেখ করে । ব্যবসা করলে ট্রেডলা্ইসেন্স লাগবে এবং সেটা নোটারী করে দিতে হবে । ব্যাংকষ্টেটম্যান্টের শেষ ব্যালান্স অন্তত একলাখ টাকার উর্দ্ধে থাকতে হবে । ব্রাজিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকে অবশ্যই আরও বেশি ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে । সাথে কনফার্ম হোটেল বুকিং বা এক জন ব্রাজিলিয়ান নাগরিক এর ইনভাইটেশন লাগবে ।
বিজনেস হলেও অবশ্যই ইনভাইটেশন লাগবে ।
যাদের ঘোরাঘুরির অভ্যাস আছে তারা হয়তো বিষয়টি খেয়াল করে দেখেছেন, আলাদা আলাদা এলাকায় আলাদা সংস্কৃতি, আলাদা মানুষের মিশেল। আবার কিছু কিছু এলাকায় একই ধরনের মানুষ আর কাছাকাছি সংস্কৃতি রয়েছে। যেমন : লাতিন আমেরিকা। দূরত্ব বা ভৌগোলিক দিক দিয়ে আমেরিকার কাছাকাছি হলেও ভাষা এবং সংস্কৃতিতে আমেরিকার থেকে অনেকটাই আলাদা।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো মানুষ চেনে ফুটবলের বদৌলতে। অনেক বিখ্যাত ফুটবলারের জন্ম দিয়েছে লাতিন আমেরিকা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, পর্তুগাল সবগুলোই লাতিন আমেরিকার দেশ। ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি ব্রাজিল।


No comments:
Post a Comment