পাকিস্তানে সুপরিচিত এক সাংবাদিককে দেশত্যাগে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরোধ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাকে দেশ ছাড়তে দেয়া হচ্ছে না। অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দেয়া খবরটি ইংরেজি দৈনিক ডনে প্রকাশ করা হয়েছিল। পত্রিকাটির বরাতে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও খবরটি প্রকাশ করেছিল তখন।
পাকিস্তানি সাংবাদিক সাইরিল আলমেইদা মঙ্গলবার টুইটারে অভিযোগ করেন, ‘বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকায়’ তার নাম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল তার। তবে যাত্রার মাত্র একদিন আগে দেশত্যাগে তার বাধা থাকার কথা জানিয়ে দেয়া হয়।
আলমেইদা সম্প্রতি তার এক প্রতিবেদনে জানান, সরকার দেশটির সামরিক প্রধানদের সতর্ক করে বলেছে, দেশীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বিশ্বে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়বে। সরকার অবশ্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোন ধরনের বিরোধের খবর প্রত্যাখান করে বলেছে, এটা ‘বানোয়াট গল্প’।
পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর তিন দফা সামরিক অভ্যূত্থানের প্রেক্ষিতে দেশটির বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে প্রায়ই টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। তবে এখনকার সময়টা খুবই স্পর্শকাতর। কারণ এ মুহূর্তে ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের সেনা চৌকিতে হামলা চালিয়ে দেশটির ১৮ সৈন্যকে হত্যার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করছে। এছাড়া ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএস জইস-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক আলমেইদা গত ৬ অক্টোবর দেশটিতে ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডনে একটি প্রতিবেদন লেখেন। অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সভাপতিত্বে আইএসআই প্রধান রিজওয়ান খানের সঙ্গে বৈঠকে সূত্ররা উপস্থিত ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।


No comments:
Post a Comment