গত বছরের ২৩ জুন ব্রেক্সিট ভোটের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে যুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে অভিবাসীদের সংখ্যা।
চলতি বছরের মার্চ থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এবং ঢুকে পড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট দুই লাখ ৪৬ হাজার নাগরিকের মধ্যে ৮১ হাজার জন দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন। যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়াদের মধ্যে ৫১ হাজার ছিল অভিবাসী।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে অভিবাসীদের সংখ্যা এক লাখের নিচে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস) বলছে, ওই সংখ্যার ভিত্তিতে বোঝা যাচ্ছে পূর্ব এবং ইউরোপের কেন্দ্রীয় দেশগুলো, যাদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৮ জাতিভুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারা ঘরে ফিরে যাচ্ছেন।
ওএনএস’র এক মুখপাত্র জানান, এ ফলাফল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যেতে অভিবাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছে ব্রেক্সিট গণভোটের ফলাফল; বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের।
তিনি বলেন, যদিও অনেকেই ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন, তবে বোঝা যাচ্ছে এই প্রবণতা দীর্ঘদিন চলবে। ওএনএস এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রত্যেক দেশেই অভিবাসন কমছে; তবে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে।
বিশেষ করে কাজের জন্য মানুষজন এখন ভিনদেশে অভিবাসী হচ্ছেন। নির্দিষ্ট কোনো চাকরির জন্য যে নির্দিষ্ট কোনো দেশে গেছেন, তাও নয়। বরং কাজের আশায় তারা পাড়ি জমাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের সঠিক হিসাবের জন্য দেশটির সরকার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে গেছে। বাকি ৩ শতাংশের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যে তারা ঠিক কী করছে, তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
ওই পরিসংখ্যানে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে তাদের পড়াশোনা শেষ না করেই দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের যে তিন শতাংশ শিক্ষার্থী এখনও দেশটি ত্যাগ করেননি তাদের অবৈধ তো বলা হচ্ছেই; পাশাপাশি তারা অভিবাসন প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করছেন বলেও অভিযোগ উঠছে।
No comments:
Post a Comment