Monday, August 28, 2017
অনুমোদন পেলেই পাসপোর্টে সত্যায়ন লাগবে না
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেছেন, পাসপোর্ট করার সময় সত্যায়ন না রাখার জন্য তাঁরা প্রস্তাব দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটাকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই আর সত্যায়ন লাগবে না। সোমবার বিকেলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ২১ আগস্ট পাসপোর্ট সেবা নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদন নিয়েই এই সংবাদ সম্মেলন। সত্যায়ন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ‘যেখানে আপনি নিজেই পাসপোর্ট করতে আসেন, সেখানে অন্য কেউ সত্যায়ন করে বলবে—এই লোকই সেই লোক অথবা জন্ম নিবন্ধনকে বলবে এটাই সেই জন্মনিবন্ধন। এটার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’ সত্যায়ন না থাকলে হয়রানিও কমবে বলে তিনি মনে করেন। লিখিত বক্তব্যে মাসুদ রেজওয়ান বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনে যেসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ এসেছে, তার প্রায় সবই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বাইরের। টিআইবির গবেষণায় উল্লেখ আছে, সেবাগ্রহীতাদের ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ এ অধিদপ্তরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার। আজকের সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক এ ব্যাপারে বলেন, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে কিছু পরিমাণে দুর্নীতি আছে। তিনি এগুলো দূর করার চেষ্টা করবেন বলে জানান। পুলিশি তদন্ত (ভেরিফিকেশন) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন এখনো দরকার। অনেক রোহিঙ্গা ও ভারতীয় কিছু নাগরিক পাসপোর্ট করতে এসেছে, যা ধরা পড়েছে।’ সবার স্মার্ট আইডি কার্ড হয়ে গেলে তখন হয়তো এটার প্রয়োজনের বিষয়ে চিন্তা করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাসপোর্ট নিয়ে দালাল চক্র প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ রেজওয়ান বলেন, ‘আমাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই, আলাদা ফোর্স নেই। র্যাব, পুলিশ দিয়ে ধরার ছয় মাস পর বের হয়ে যায়। গত এক বছরে ৮৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।’ দালালের সহযোগিতা নেওয়ার মনোভাব নিয়ে তিনি বলেন, মানুষ অফিসে না ঢুকে দালাল খোঁজে। সবাইকে মাধ্যম না হয়ে সরাসরি অফিসে এসে সেবা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment