Social Icons

Thursday, August 31, 2017

ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের ডেরা থেকে ১৮ নাবালিকা ও বিপুল পরিমাণ কনডম উদ্ধার


নারী ধর্ষণের মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিংয়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা কর্মকাণ্ড সামনে আসতে শুরু করে ২৫ আগস্ট শুক্রবার ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণার পর থেকে। তবে এবার বেরিয়ে এসেছে গুরুর আস্তানার ভেতরের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ও সেখানে কীভাবে তিনি অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেন তার বর্ণনা।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য সামনে এনেছেন ওই মামলার প্রধান তদন্তকারী সিবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি এম নারায়ণন। ধর্ষণ মামলায় গুরমিতের জেল হওয়ার পর তল্লাশি চালানো হয় তার ডেরায়। সেখান থেকে ১৮ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ওপরেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে কি না, তা জানার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে।

নারায়ণন জানিয়েছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে শুধুমাত্র যৌন নির্যাতনের কারণেই ডেরা ছেড়ে গিয়েছিলেন দুই শতাধিক নারী। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জনকে খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। তাদের মধ্যেও মাত্র দু’জন আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা মুখ খুলতে চাননি।
তিনি জানান, রাম রহিমের ভাণ্ডারে লেক্সাস, রেঞ্জ রোভারের মতো বিলাসবহুল গাড়ির সংখ্যা একাধিক। বিশাল বিশাল ঘরের অধিকাংশ জায়গাই খাঁটি সোনায় মোড়া। এখান থেকেই রাজকীয় হালে নিজের সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিম সিং। গুরমিতের গোপন গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণ কনডম, গর্ভনিরোধক বড়ি, অশ্লীল সিডি, ভিডিও এমনকি সেক্স টনিকও।

একেবারে মনের মতো করে ডেরায় পরিবেশ সাজিয়েছিলেন রাম রহিম। তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণন আরও জানান, নিজের গোপন গুহায় সুন্দরী অল্পবয়সী সাধ্বীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতেন বাবা। তার ব্যক্তিগত পরিচর্যার দায়িত্বে থাকতেন এই সাধ্বীরাই। কিন্তু অনেক সময় তাতেও মন ভরত না বাবার। ঠিক রাত ১০টার সময় ফোন যেত প্রধান সাধ্বীর কাছে। ‘আবদার’ থাকত নতুন তরুণী সাধ্বী পাঠানোর।
তিনি বলেন, ডেরার সকলেই জানত এ বিষয়ে। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতেন না কেউ। সামাজিক কাজকর্মের আড়ালে স্বেচ্ছাচার চালাতেন ভণ্ড বাবা। নারায়ণনের ভাষ্য, ‘ও মানসিক রোগগ্রস্ত। জন্তু ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।’

শুধু ধর্ষণ মামলাই নয়, রাম রহিমের মাথার ওপর ঝুলছে দু’টি খুনের মামলাও। ২০০২ সালে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দুই সাধ্বী চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটোলবিহারী বাজপেয়ীকে। ওই দুই সাধ্বীর মধ্যে একজন ছিলেন ডেরা ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহের বোন। ‘দেশ সেবক’ নামের একটি পত্রিকায় এই চিঠি প্রকাশ করেন সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতি। অভিযোগ, এরপরেই রঞ্জিত সিংহ এবং ছত্রপতিকে খুন করান রাম রহিম। আগামী মাসেই শুরু হবে সেই মামলার শুনানি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates