বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ রোধ করা যাচ্ছে না। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করছে। আশ্রয় পাচ্ছে শরণার্থী শিবিরসহ আশপাশের লোকালয়ে। এছাড়া মিয়ানমারের নাগরিক এসব রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশে সুযোগের পাশাপাশি গোপনে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকে অনেকে।
এদিকে রবিবার বিকেল ৪টায় ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্প ও সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করে বিজিবি সদস্যদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, আমরা পরিপূর্ণভাবে যেকোন সমস্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। অতিরিক্ত ১৫ হাজার বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের কোন অবস্থাতেই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
এ সময় বিজিবির মহাপরিচালকের ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের রিজিওনাল কমান্ডার কর্নেল আলিফ, কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার আনোয়ারুল আজিম, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।
অপরদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে রবিবারও দলে দলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। অবস্থান নিয়েছে সীমান্ত এলাকায়। তবে শনিবার বিকেলের আগুন ও গোলাগুলির পর আর কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার মিয়ানমার ঢেকিবুনিয়া তুমব্রু থেকে এসে এপারের ঘুমধুম এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে দুই হাজারের অধিক রোহিঙ্গা নরনারী শিশু।
এব্যাপারে বিজিবির ঘুমধুম সীমান্তচৌকির অধিনায়ক নায়েব সুবেদার রফিকুল ইসলাম বলেন, হাজারো রোহিঙ্গা সীমান্তে জড়ো হয়ে রয়েছে। বিজিবি কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার লে.কর্নেল মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে কিছু সমস্যা হওয়ায় কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্তে জড়ো হয়েছে। কিন্তু কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সীমান্তে আরও জনবল বাড়ানো হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
উল্লেখ্য, মায়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে গত সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছে।গত শুক্রবার ভোরের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের একটি দল আক্রমণ করে রাখাইন অঞ্চলের একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে। দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (এআরএসএ) শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment