চীনের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী টাইফুন ‘হাতোর’ তাণ্ডবে ১৬ জন নিহত ও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছে। ১০ মাত্রার এই টাইফুন হংকং পেরিয়ে বুধবার দুপুরে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাই শহরের কাছ দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানে, সঙ্গে করে নিয়ে আসে তীব্র ঝড় ও প্রবল বৃষ্টি।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করেছিল হংকং। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে হংকং ও নিকটবর্তী ম্যাকাওয়ে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জলোচ্ছ্বাসে হংকংয়ের বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হয়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা। ঘূর্ণিঝড়টি হংকং অতিক্রম করার সময় এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চীনের মূল ভূখণ্ডের প্রায় ২৭ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
টাইফুনের তাণ্ডবে ম্যাকাওয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ডে মারা গেছে আরও আটজন। এছাড়া আরেক ব্যক্তির নিখোঁজ থাকার খবর এসেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, টাইফুন হাতোর কারণে বুধবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, ট্রেন স্টেশন ও বিমানবন্দরগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
হাতোর কারণে হংকংয়ে একশ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে হিসাব করা হয়েছে। জাপানি শব্দ ‘হাতো’র অর্থ ‘কবুতর’। এই ‘কবুতর’ এখন স্থলভাগের আরও ভেতরে প্রবেশ করে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি ও টেলিগ্রাফ।
No comments:
Post a Comment