Social Icons

Thursday, August 31, 2017

জানেন কি যেসব কারণে কোরবানি দিলেও কোরবানি হবে না


কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ আর ঈদ শব্দের অর্থ খুশি। অতএব ঈদুল আযহা অর্থ কোরবানির খুশি। এই কোরবানির দিনে আল্লাহর উদ্দেশ্যে জানোয়ার (পশু) জবাই করা হয়। এর দ্বারা মালের ত্যাগ স্বীকার করা হয়। এই মালের কোরবানি দিতে পারার মধ্যে মুমিনের একটা আনন্দবোধ থাকে। এজন্যই একে কোরবানির ঈদ বলা হয়।
ইসলামে অনেক ধরণের কোরবানির বিধান রয়েছে। এক ধরণের কোরবানি হল জানের কোরবানি। যেমন, নামায, রোজা, হজ্ব, জিহাদ ইত্যাদির বিধান। আর এক ধরণের কোরবানি হলো মালের কোরবানি। যেমন, যাকাত, ফিতরা, কোরবানি, দান, সদকা ইত্যাদির বিধান। এসব বিধান পালনের মাধ্যমে মালের কোরবানি দেওয়া হয়।
কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। অধিকাংশ মুসলমান ব্যক্তি এই ঈবাদত পালন করতে চান। এ কারণে আনন্দের সঙ্গেই সাধ্যমত কোরবানি দিয়ে থাকেন। কিন্তু ইসলাম বা কোরবানি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকায় মনের অজান্তেও এই ঈবাদত যথাযথ ভাবে হয় না। তাই কোরবানি দিলেও বেশ কিছু কারণে না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
বেশ কিছু কারণ নিম্নে তুলে ধরা হল:
১) জানোয়ার (পশু) জবাই করার মাধ্যমে মালের কোরবানি হবে সেই সাথে মনেরও কোরবানি হবে। এই কোরবানি জন্তু জবাই করতে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হয়। এই অর্থের প্রতি মনের যে মায়া সেই মায়াকে ত্যাগ করে কোরবানি করতে হবে। তাহলেই কোরবানি সহিহ হবে।
২) কোরবানি করতে গেলে মনের মধ্যে যদি গোশত খাওয়ার চিন্তা চেতনা আসে তাহলে ওই ব্যক্তির কোরবানি সহিহ হবে না।
৩) সুদ, ঘুষ এবং অসৎ টাকায় কোরবানি দিলে কোরবানি সহিহ হবে না।
৪) কোরবানির জন্তু ভাগে ক্রয় করলে অংশিদারদের মনের ভিতর কোন প্রকার গোশত খাওয়া বা অন্য কোন গলদ ধারণা থাকলে কোরবানি সহিহ হবে না।

- হাফেজ মাওলানা শিহাব উদ্দিন

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates