টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই খালুর বিরুদ্ধে। ৩০ আগস্ট বুধবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে খালুর বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে করেছে। মামলাটি আমলে নিয়ে ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, দুই মাস আগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নির্জন বনে নিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে ওই ছাত্রীর খালু। বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। পরে গত ৭ জুলাই ওই ছাত্রী বাড়িতে একা থাকাকালীন খালু কর্তৃক আবারও ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। পরে মেয়েটি তার মা-বাবাকে ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা-বাবা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুর রউফ তালুকদারকে জানালে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু অভিযু্ক্ত ব্যক্তি তাতে সাড়া দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ছাত্রীর মা বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হলে মেয়ে আর বিদ্যালয়ে যেতে চায়নি। ইউপির সদস্য আবদুর রউফ তালুকদার জানান, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত, দাদনের ব্যবসাও রয়েছে তার। অভিযোগ পেয়ে তাকে কয়েকবার ডাকলেও সে আসেনি।
অভিযোগের অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী বলেন, ঘটনাটি শুনছি। এটা খুবই লজ্জার। ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমার স্বামী অপরাধ করলে আমি তার বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
No comments:
Post a Comment