চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গত ৭ মাসে শতাধিক নারী অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। সেই আতঙ্ক না কাটতেই চিরকুট লিখে আরেক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী হালিমা আক্তার পুতুল (২৮) একই পথে হাঁটলেন। এ ঘটনায় উভয় পরিবার হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে উপজেলার ৬ নম্বর বড়কুল পূর্ব ইউপির সেন্দ্রা পাটোয়ারী বাড়ির তফাজ্জল পাটোয়ারীর মেয়ে হালিমা আক্তার পুতুলকে বিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় একই উপজেলার রায়চোঁ গ্রামের পতন আলী ফকির বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে আবু ছায়েদ ধুম-ধাম করে পুতুলকে বিয়ে করেন।
এভাবে সুখে শান্তিতে কাটছিল তাদের সংসারজীবন। পরে আবু ছায়েদ সৌদি আরবে পাড়ি জমান। স্ত্রী-সন্তানদের দেখভাল করতে প্রায়ই উড়ে আসতেন দেশে। এরই মধ্যে তাদের পরিবারে আসে দুটি ছেলে সন্তান। দীর্ঘ ১০ বছর তাদের দাম্পত্য জীবনে সুবাতাস বইলেও এর মধ্যে উভয়ে একে অপরকে সন্দেহ করে।
এই সন্দেহের মাত্রা একপর্যায়ে ঝগড়ায় রূপ নেয়।
এরই মধ্যে স্বামীর ঘরে একটি চিরকুট লিখে পালিয়ে যান পুতুল।
এরই মধ্যে স্বামীর ঘরে একটি চিরকুট লিখে পালিয়ে যান পুতুল।
বুধবার বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় পুতুল একটি চিরকুট লিখেন যাতে লিখা রয়েছে, ‘ছায়েদ আপনার কথার পর আমি এখানে আর থাকব না। আমার ছেলেদের রেখে গেলাম। আমার ছেলেদের দিকে খেয়াল রেখ। ‘ এভাবে অল্প কথায় একটি চিরকুট লিখে ১০ বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, পুতুলের খোঁজ মিললে আসল বিষয়টি জানা যাবে। এটি অভিমান নাকি পরকীয়া তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
No comments:
Post a Comment