মিয়ানমারের রাখাইনের সংঘাতের ফলে বাংলাদেশে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মুখপাত্র দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য। কক্সবাজার সীমান্তে কর্মরত জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের হিসেবে সংঘাত শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য রয়টার্সকে বলেন, তারা পুষ্টিহীন অবস্থায় বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এবং সম্ভবত স্বাভাবিক খাদ্য সরবরাহ থেকে গত এক মাস ধরে তারা বঞ্চিত। তাদের চেহারাতেই পরিষ্কার যে তারা ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। অসুস্থ ও আহতাবস্থায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। সেখানে ইতিমধ্যে আগের সংঘাতের ধাক্কায় বহু রোহিঙ্গা রয়েছে যাদের সহায়তা প্রদান করতে ইতিমধ্যে হিমশিম খাচ্ছে সরকার ও বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো।
এদিকে আরেকজন জাতিসংঘ কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারে সংঘাতের প্রকৃত চিত্রটা জানা না যাওয়ায় সঠিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে না ঠিক কত শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে প্রায় ৩ লাখ শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বুধবার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা মানুষগুলোর জন্য ১ কোটি ১৩ লাখ ডলার সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানুষ ক্ষুধার্ত ও পুষ্টিহীন অবস্থায় প্রবেশ করছে।
দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য বলেন, যদি ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে আগামী চার মাস হাই এনার্জি বিস্কুট ও চাল রেশন দেয়ার জন্য ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের অতিরিক্ত সহায়তা দিতে হবে। দাতাদের তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। ‘এখনই যদি দাতারা এগিয়ে না আসে তাহলে হয়তো আমাদের দেখতে হবে যে শরণার্থীরা খাদ্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে, অপরাধের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে এবং নারী-শিশুদের উপর সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে।
আল জাজিরা ও রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment