Saturday, March 19, 2016
ব্যাংকের টাকা চুরির দায়ে ছেলেকে বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী গভর্নরকে বলির পাঁঠা বানিয়েছেন: সমাপনী বক্তৃতায় খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাকিং হয়নি, চুরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়টি গভর্নর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই জানতেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ছেলেকে বাঁচাতে গভর্নরকে বলির পাঁঠা বানিয়েছেন। শনিবার রাতে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, হ্যাকিং নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা সরকারের জ্ঞাতসারে চুরি হয়েছে । বিদেশে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে। খালেদা বলেন, হ্যাকিং নয়, ব্যাংকের টাকা চুরি করা হয়েছে। কিন্তু বিদেশে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর ওই ভদ্রলোককে (ড. আতিউর) পদত্যাগ করিয়ে বলির পাঠা বানানো হলো। তবে ভদ্রলোকেরও দোষ আছে। তিনি সত্যটা কেন বললেন না? মেরে ফেলতো? সে সাহস কখনোই পেতো না। হাসিনা নাকি কেঁদেছেন। কাঁদবেনইতো, ছেলে অপকর্ম করবে, আর দায়ভার অন্য কেউ নেবেন। কিন্তু তিনি কেঁদেছেন, নাকি চোখে গ্লিসারিন দিয়েছেন? বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি প্রধান। বক্তব্যের শুরুতেই কাউন্সিলররা সবাই খাওয়া পেয়েছেন কি-না জানতে চান খালেদা। জবাবে তাদের কেউ কেউ ‘না’ জানালে তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু জায়গাটা খুব ছোট। এ সরকারের কলিজাটা খুব ছোটতো। তারা বড় জায়গা দিতে ভয় পায়। যেসব স্থানে কাউন্সিল আয়োজনের অনুমতি চেয়ে পাননি, সেগুলোও বলেন তিনি। এরপর বলেন, বিএনপি জনগণের দল, নির্বাচনমুখী দল। কিন্তু সেটি হাসিনা-মার্কা নির্বাচন নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কড়া সমালোচনা করে খালেদা বলেন, রকিবউদ্দীন মানুষ না, তাকে মানুষ এতো গালিগালাজ করেন, তবু যান না। হাসিনা-রকিবউদ্দীনের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আমরা এবার অনেক সুন্দর নির্বাচন করবো। ‘আপনারা চা-দোকানে যখন যান, মানুষ বলেন, আপনারা ঠাণ্ডা হয়ে গেলেন কেন? কারণ, তারা অস্থির। তারা জানেন, বিএনপি ছাড়া কেউ উদ্ধার করতে পারবে না। এরশাদওতো ঠিক নাই। পাগল না, বেঈমান, তালে একদম ঠিক। হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক ১৯৮৬ না, ১৯৮২ সাল থেকেই’- বলেন খালেদা। খালেদা বলেন, এরশাদ ৮৬’তে বেঈমানি করেছিলেন। দলের মধ্যেও এমন কিছু বেঈমান আছেন, যাদের জন্য আন্দোলনে সেভাবে সফলতা আসেনি। মীরজাফরের রক্ততো অনেকের মধ্যেই আছে। দলে মেয়েদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়েরাও কাজ করেছে। তাদের অন্তত ১০ শতাংশ পদে দিতে হবে। বিদেশিরাও জানতে চান, তোমাদের মাঝে নারী নাই? কেন্দ্রেও নারী নেতৃত্ব বাড়ানো হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment