Social Icons

Tuesday, June 7, 2016

টলিউডে রেপ হয় না, যা হয় নারী-পুরুষের সম্মতিতেই

কামালগাজির ফ্ল্যাটের আলসে বিকেল। কিন্তু, মালকিনের কোনও আলিস্যি নেই। কখনও কাস্টিং কা‌উচ নিয়ে অকপট, কখনও বা লবি নিয়ে খোলামেলা। তিনি শ্রীলেখা মিত্র। বিস্ফোরক সাক্ষাত্কারে জানালেন, টলিউডের অন্দরের কথা। কলকাতার বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারকে শ্রীলেখার দেয়া সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-   মীরাক্কেল শেষ। মানে, ব্র্যান্ড শ্রীলেখা আউট অফ ফোকাস। মানবেন? শ্রীলেখা: না। কেন? এখন আর আপনার হাতে কাজ কোথায়? শ্রীলেখা: সামনেই রিমা মুখোপাধ্যায়ের হিন্দি ছবি ‘অর্ধাঙ্গিনী’ রিলিজ করবে। ‘ঘরে বাইরে’র ওপর স্ক্রিপ্ট। সেখানে বিমলার চরিত্র আমার। তার আগে ‘ভাইরাস’ বলে একটা ছবি রিলিজ করবে আগামী ২৪ জুন। পাইপলাইনে ‘অরণ্যদেব’, ‘চেতনা’-র রিলিজও রয়েছে। আর প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর পরিচালনায় জি-বাংলা অরিজিনালস একটা শুরু হচ্ছে। তবে, মাঝে মাঝে আউট অফ ফোকাস থাকা ভালো তো। কেন? শ্রীলেখা: আমি জীবনে কাজের ক্ষেত্রে হ্যাঁ এর থেকে না বেশি করেছি। আসলে টাকার জায়গাটা ফ্লেকসেবল থাকলে আমি সিলেকটিভ কাজ করি। টাকার টান পড়লে আবার প্রচুর কাজ। তাছাড়া আমার পিআর একদম ভালো নয়। সকাল থেকে উঠে, কাজ...কাজ...এ সব একদম পারি না। কাজ পেতে গেলে পিআর ভালো হতে হয় বলছেন? শ্রীলেখা: অবশ্যই। কিন্তু, আমি তো তেলা মাথায় তেল দিতে পারি না। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই আত্মসম্মান বোধ নেই বা কম। সে কারণেই হয়তো তাদের থেকে আমি কম কাজ পাই। আমার কলিগরাও জানেন, আমি একজন সৎ মানুষ। যেটাতে আমার মন সায় দেয় না, সেটা করব না। আরও একটা উপায় আছে অবশ্য। সেটা কী? শ্রীলেখা: ইন্ডাস্ট্রির কারও সঙ্গে সম্পর্ক। মানে, একজন হিরো বা ডিরেক্টরের সঙ্গে প্রেম হলে বছরে দু’টো ছবি বাঁধা (মুচকি হাসি)। আপনার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি বলেই কি বড় পর্দায় শুধুই প্রসেনজিতের বোন হয়ে থাকতে হল? শ্রীলেখা: প্রসেনজিতের হিরোইনও তো হয়েছি। ২০০০-এ তো ‘অন্নদাতা’ বিশাল হিট দিয়েছিল। তারপর তো আর সে ভাবে... শ্রীলেখা: সে সময় প্রসেনজিত্ ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি। কিছু নায়িকার সঙ্গে ওর জুটি জমেছিল। তাদের সঙ্গে ওর ভালো সম্পর্কও ছিল। কিন্তু, আমার সঙ্গে হয়তো জুটিতে ততটা কমফর্টেবল ছিলেন না (মিনিংফুল হাসি)। পুরোটাই আমার অ্যাজামসান, হতে পারে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে হয়তো আমার সঙ্গে উনি আর কাজ করতে চাননি। আমি জানি না, জুটি হলে বোধহয় একটা প্রেম থাকতে হয়, উত্তম সুচিত্রা জুটি...প্রাক্তন...। কিন্তু আমার তো সবাই ‘বাডি’, বন্ধু হয়ে গেল। প্রেমটা আর হল না (প্রাণখোলা হাসি)। ‘প্রাক্তন’ দেখেছেন? শ্রীলেখা: না। দেখার প্ল্যান রয়েছে? শ্রীলেখা: এখনও তেমন কোনও তাগিদ অনুভব করছি না। কেন? শ্রীলেখা: ঋতু আমার ছবি দেখেছে? ‘চৌকাঠ’? এটা কি গিভ অ্যান্ড টেক পলিসি? শ্রীলেখা: সবার বেলায় সেটা হবে, আমার বেলায় কেন নয়? আমিও একটু শিখি। দ্য ওয়েস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড...। (হাসতে হাসতে) জোকস আপার্ট। ঋতু আমাকে ‘প্রাক্তন’ দেখার জন্য ফোন করেছিল। নাইস অফ হার। আমার কিন্তু ‘চৌকাঠ’ দেখার জন্য ফোন করা হয়নি। এটা হয়তো আমারই ভুল। ‘প্রাক্তন’-এর পরিচালক শিবপ্রসাদই তো নাকি আপনাকে ইন্ডাস্ট্রিতে এনেছেন। তবুও আপনাকে কাজ দেন না। খারাপ লাগে না? শ্রীলেখা: দেখুন, আমি কারও কাছে গিয়ে কাজ চাইতে পারব না। আর কেউ কাজ না দিলে, আমি কী করব? ঝগড়া করব? আমি না খুব অলস। ও সব পারি না। তা ছাড়া এত দিন কাজ করে আমি একটা নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছি। সকলে জানেন আমার পারফরম্যান্স কেমন। তা হলে আর লবি করব কেন? শিবপ্রসাদের কোনও ছবিই দেখেননি? শ্রীলেখা: তা কেন? ওর ‘ইচ্ছে’ ভালো লেগেছে। বিভিন্ন জায়গায় আমি সে কথা বলেছি। তবে ওর সব ছবি আমার ভালো লাগেনি। আসলে শিবু একটা বড় অংশের বাঙালির ইমোশনটা ক্র্যাক করেছে। সেই অর্থে ও বুদ্ধিমান তো বটেই। এখন টলিউডে সেরা পরিচালকদের তালিকায় কাদের রাখবেন? শ্রীলেখা: ইন্ডাস্ট্রিতে খুব তাড়াতাড়ি একটা বড় চেঞ্জ আসছে। অনীক দত্ত বা অরিন্দম শীল তো আছেনই। এ ছাড়া সৌকর্য ঘোষালের ‘পেন্ডুলাম’ করেছি আমি। দেখবেন, ও অনেক দূর যাবে। এ ছাড়াও ‘ফড়িং’-এর ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরি, ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’-র প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য— এরা দারুণ কাজ করছে। সবচেয়ে যেটা ভাল, এরা কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না। এদের আইডিয়া, ইনোভেশন সবটাই ফ্রেশ। আচ্ছা কাস্টিং কাউচের কথা তো খুব শোনা যায়। সত্যিই এমন হয়? আপনার এমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়েছিল? শ্রীলেখা: আমি যখন কাজ শুরু করেছি তখন কাস্টিং কাউচ অবশ্যই ছিল। তবে, আমি সেটা বুঝিনি। সব জায়গায় বাবা যেত আমার সঙ্গে। একটা ঘটনা শেয়ার করি। নাম বলব না। আমার একটা হিন্দি ছবি করার কথা ছিল। গোবিন্দর তখন খুব রমরমা। আমার হিরো হওয়ার কথা ছিল গোবিন্দরই। প্রথমে তো সেই পরিচালক আমাদের বাড়িতে এলেন। তার পর পিয়ারলেস ইনে স্ক্রিপ্ট শোনাতে ডেকেছিলেন। আমি ভাইয়ের সঙ্গে গেলাম। খেলাম, গল্প করলাম। কিন্তু, স্ক্রিপ্ট আর শোনালেন না। আসলে কেউ একটা স্টেপ নেবেন আর আমি কোনও স্টেপ না নিলে সে তো এগোতে পারবে না। তাই না? সে জন্যই বলব, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও রেপ হয় না। কারও ইচ্ছে বা অ্যাম্বিশনটাকে উস্কে দেওয়া হয়। এই সমস্যা সব জায়গায় রয়েছে। না হলে ‘দুপুর ঠাকুরপো’র কোনও অস্তিত্ব থাকত না। শুধু ফিল্মের লোকদের কেন টার্গেট করা হয় বলুন তো? আমি জাজমেন্টাল হচ্ছি না। শুধু এটা বলছি যে, আজকের দিনে ছেলেরা যদি মেয়েদের ইউজ করতে পারে, মেয়েরাও উল্টে ছেলেদের ইউজ করতে পারে। কিন্তু, আমি এটা করতে পারিনি বস!

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates