নেদারল্যান্ডের রোটারডামে অবস্থিত তুর্কি কনস্যুলেটে তুর্কি পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীর প্রবেশ প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে ডাচ কর্তৃপক্ষ। কয়েক ঘণ্টার যুক্তি-তর্কের পরে তাকে ডাচ পুলিশের পাহারায় জার্মানিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার ডাচ সরকার তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফ্লাইট পারমিট বাতিল করার পরে রোটারডামে তুর্কি কনস্যুলেটে পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীর গাড়িবহর প্রবেশেও বাধা দেয়।
ওই নারী মন্ত্রীর নাম ফাতমা বেতুল সায়ান কায়া।তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধকে পদতলে পদদলিত করে ডাচ সরকার তাকে সীমান্ত দিয়ে জার্মানিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।’
কায়া ডাচ কর্তৃপক্ষের আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘পুরো বিশ্বের উচিৎ হবে গণতন্ত্রের নামে এ ধরনের ফ্যাসিস্ট আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’
তিনি আরো লিখেন, ‘একজন নারী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
এর আগে মন্ত্রীকে ‘একজন অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয় এবং রবিবার সকালের মধ্যেই তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়। ডাচ ‘আরটিএল’ টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী।
দেশ দুটির অভ্যন্তরে গত দুই দিন ধরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, ডাচ সরকারি টিভি চ্যানেল ‘নস’ টিভি জানায়, পরিবারকল্যাণ মন্ত্রীর কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীকে আটক করা হয়েছে।
মন্ত্রী ফাতমা বেতুল সায়ানের সমর্থনে হাজার হাজার লোক তুর্কি কনস্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে সড়িয়ে নেয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ডাচ পুলিশ কুকুর, লাঠি ব্যবহার করে।
একটি সাংবিধানিক সংশোধনীর জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য গণভোটকে সামনে তুর্কি সোসাইটির সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মন্ত্রীর।
সূত্র: আনাদুলো
No comments:
Post a Comment