সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী কর্তৃক আকাশসীমা অবরোধের কারণে প্রায় এক বছর ধরে ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরটি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন বলে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) জানিয়েছে।
এনআরসি বলেছে, এক বছর ধরে বিমানবন্দরটি বন্ধ থাকার কারণে জীবন রক্ষার্থে হাজার হাজার রোগীকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে উন্নত চিকিৎসার অভাবে এদের অনেকে মারা গেছেন। এনআরসির পরিচালক মুতাসিম হামদান এক বিবৃতিতে বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে হাজার হাজার ইয়েমেনি বেঁচে থাকার মতো অসুস্থ থাকার পরও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিরাপদ বাণিজ্যিক ভ্রমণের সুবিধা না থাকায় ইয়েমেনিদের বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের অন্য কোনো উপায় ছিল না বলে জানান তিনি। এর বিধ্বংসী ফলাফলস্বরুপ নারী, শিশুসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এরকম প্রেক্ষাপটে ১৪টি ত্রাণ সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে নরওয়ের মানবাধিকার সংস্থাটি ইয়েমেনে যুদ্ধরত বিভিন্ন পক্ষকে দেশটির প্রধান বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার আহবান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে গত বছরের ৯ আগস্ট সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অসংখ্য ইয়েমেনি দেশের বাইরে নিরাপদ ভ্রমণে যেতে পারেননি। জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে এনআরসি জানিয়েছে, দেশটিতে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগের বছর প্রায় সাত হাজার ইয়েমেনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন। একইভাবে গত দুই বছরে জীবন রক্ষার্থে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু এদের বেশিরভাগের পক্ষেই সেটি সম্ভব হয়নি। আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment