রাজশাহীতে এক তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নামো শংকরবাটি নতুনহাট মোল্লাপাড়া এলাকায়। পুলিশ বলছে, সম্প্রতি ওই তরুণীর রাজশাহীর দুই যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়। এরপর তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী।
রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার এক আবাসিক হোটেলে সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই তরুণী মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেন। পরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ওই তরুণীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায় পুলিশ। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে আবদুল আলম ওরফে বাদশা (৩০) এবং বাগমারা উপজেলা সদরের আবুল খায়ের ওরফে নাহিদ (২৬)। এদের মধ্যে বাদশা পেশায় শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই তরুণীর বরাত দিয়ে নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ফেসবুকে বাদশা ও নাহিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল ওই তরুণীর। এরপর তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজশাহী আসেন তিনি। সোমবার দুপুরে তাকে নিয়ে নগরীর এক হোটেলে যায় ওই দুই যুবক। পরে সেখানে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তারা তরুণীকে রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর রাতে ওই তরুণী নিজে থানায় গিয়ে মামলা করেন।
মামলার দায়েরের পর মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণীকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই আবাসিক হোটেল থেকে ধর্ষণের নানা আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment