আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার কারখানা দ্রতই সরানো হবে বলে আশাপ্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার রোধে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা জুড়ে এই মাদক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র্যাব-৭ সদর দপ্তরে ‘মাদকদ্রব্য ধ্বংস কর্মসূচি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মাদক তৈরি না করলেও কুফল ও ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। মিয়ানমার তৈরি করে ইয়াবা আর ভারত তৈরি করে ফেনসিডিল।তারা ‘বর্ডার এলাকায় ইয়াবা তৈরির কারখানা থাকার কথা’ স্বীকার করে সেগুলো সরিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবে বলছে।’
ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা আমাদের কথা দিয়েছে, ফেনসিডিলের কারখানাগুলো ‘বর্ডারসাইড’ থেকে বন্ধ করে দেবে এবং ক্রমান্বয়ে তারা তা করছেও।”
সীমান্তজুড়ে এসব মাদকের কারখানা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। অনুষ্ঠানে র্যাব সদর দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা ৪৫ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, প্রায় ১৫৩ কেজি গাঁজা, চার হাজার ৩১৯ বোতর ফেনসিডিল ও বিদেশি মদ ও বিয়ার ধ্বংস করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাংসদ এমএ লতিফ, সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশরার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন।
এছাড়াও স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং দুই মাদকাসক্ত যুবক তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চন্দনাইশের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌদুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


No comments:
Post a Comment