রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি টেলিভিশনের উপস্থাপিকাকে (২৩) ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত অভিনেতা শরিফুল ইসলাম নান্টু ওরফে শরিফ খানকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে পল্লবীতে গত বুধবার রাতে স্কুলের মধ্যে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়া শিক্ষক মো. সুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনির আখড়ায় ধর্ষণের শিকার তরুণী উপস্থাপনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। এই তরুণী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ২ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও তরুণী গত বুধবার রাতে কদমতলী থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গোপনে ভিডিও করে উপস্থাপিকাকে নিয়মিত ব্লাকমেইল করা হচ্ছিল। কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, উপস্থাপিকার অভিযোগ তারা পেয়েছেন। একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত অভিনেতা পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য থানার একটি টিম অভিযান শুরু করেছে।
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন উপস্থাপিকা তার পূর্ব পরিচিত ওই অভিনেতার সঙ্গে শনির আখড়ায় বোনের বাসায় আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন বাসায় বোন উপস্থিত ছিলেন না। এই সুযোগে ওই অভিনেতা তাকে ধর্ষণ করে। পাশাপাশি ধর্ষণের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে রাখে। পরে তরুণী উপস্থাপিকা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়া হয়। তরুণী খোঁজ নিয়ে জানেন ওই অভিনেতা বিবাহিত। এক পর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় অভিনেতা। এ নিয়ে ক’দিন ধরে তরুণীকে ব্লাকমেইল করে আসছিল ওই অভিনেতা। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে পুলিশের কাছে যান তরুণী।
এদিকে বুধবার রাতে পল্লবীর ই ব্লকে ১০/১ নম্বর সড়কের মর্নিং গ্লোরি স্কুলে কোচিং ক্লাস করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ১৪ বছরের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা পল্লবী থানায় মামলা করেন। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানান, ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে ধর্ষক সুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি ওই স্কুলের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তিনি নিজেও তিতুমির কলেজের ছাত্র। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


No comments:
Post a Comment