যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া বাকযুদ্ধ চলছেই। যদিও মাঝের কয়েকদিন কিছুটা শিথিল হয়ে এসেছিলো উত্তেজনা। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মার্কিন বাহিনীর যৌথ মহড়ার কথা শুনে ফের গর্জে উঠেছে উত্তর কোরিয়া। রবিবার এক বিবৃতিতে কিম প্রশাসন বলেছে, ‘ওদের বেপরোয়া আচরণ অনিয়ন্ত্রিত পরমাণু যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে।’
কিছুদিন আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে পরমাণু হামলা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার বাকযুদ্ধ। হুমকি, পাল্টা-হুমকির শেষে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বিচক্ষণতার প্রশংসা করে টুইট করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তখনকার মতো কিমের দেশের তরফ থেকে একরকমের সংযত পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি এসেছিল। বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র কিছু না করলে কিম প্রশাসন চুপচাপই থাকবে।
কিন্তু সোমবার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। প্রতি বছরই এটা হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ায় উত্তাপ বেড়ে গেছে অনেকটাই। পিয়ংইয়ং এবার সরাসরি জানিয়ে দিলো, তাদের সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে। গুয়াম, হাওয়াই অথবা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড, কোথাও এই ‘নির্মম হামলা’ এড়ানো পারবে না তারা। দেশটির সরকারি সংবাদপত্র ‘রোডং সিনমুন’ এ এই বার্তা প্রকাশিত হয়েছে।
তবে কিমের দেশের হুমকির মুখে মার্কিন সেনা এবং ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য, দশদিনের ওই মহড়া থেকে সরে আসার কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু বার্ষিক এই মহড়াকে পিয়ংইয়ং ‘আগ্রাসন’ হিসেবেই দেখছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এটা দু’দেশের প্রতিরক্ষা কর্মসূচির অংশ। তবে রোডং এ লেখা হয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পরমাণু যুদ্ধের মহড়া আসলে অনিয়ন্ত্রিত পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ তাদের দাবি, ‘উত্তর কোরিয়ার হাতে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) আছে, যা যে কোনো জায়গা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে সরাসরি আঘাত করতে সক্ষম।’ সিএনএন।
No comments:
Post a Comment