এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতীয় পতাকা নিয়ে সীমান্তে একে অপরকে এভাবেই টেক্কা দিতে ব্যস্ত ভারত–পাকিস্তান।
প্রস্তুতি অবশ্য গত এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হয়েছিল। ৩৬০ ফুট উঁচু পতাকা উত্তোলন করে প্রথম হুঙ্কার ছাড়ে ভারতের ‘অমৃতসর ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট।’ পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা অনিল জোশীর তত্ত্বাবধানেই পতাকা তৈরির কাজ শুরু হয়। যার জন্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি রুপি বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির দাপটে কয়েক দিন পরই ছিঁড়ে কুটিকুটি হয়ে যায় সেই পতাকা। বাধ্য হয়ে সেটি নামিয়ে নেয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করে প্রায় তিন মাস পর, রবিবার ফের পতাকাটি উত্তোলন করা হয়। যা কিনা ১২০ ফুট লম্বা ও ৮০ ফুট চওড়া। ৩৬০ ফুট উঁচু খুঁটির সঙ্গে বাঁধা রয়েছে।
তবে পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। ভারতের এক দিন আগে, ১৪ অগাস্ট তাদের স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে রোববার রাত থেকেই উৎসবে মজেছে গোটা দেশ। লাহোরের কাছে আটারি–ওয়াঘা সীমান্তে ৪০০ ফুট উঁচু পতাকা উত্তোলন করে যার সূচনা করেন সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে তাদের পতাকাটাই বৃহত্তম। গোটা দুনিয়ার নিরিখে অবশ্য অষ্টম। তবে উচ্চতা বেশি হলেও, দৈর্ঘ্যে–প্রস্থে ভারতের পতাকাটিরই সমান সেটি।
পাক সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ‘প্রায় ৭৭ বছর আগে লাহোরের মাটিতে পাকিস্তান ঘোষণা পাস হয়েছিল। আইন ও সংবিধান মেনে আজ উন্নতির পথে পাকিস্তান। প্রশাসনের অন্দরেও বিশেষ ঝামেলা নেই বললেই। তবে দেশের জন্য বহু মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। না জানি কত শত মানুষ শহিদ হয়েছেন। পাকিস্তান তাদের চিরকাল মনে রাখবে। দেশের পূর্ব হোক বা পশ্চিম প্রান্ত— শত্রুপক্ষের চোখ রাঙানিকে আজ মোটেই ডরায় না পাকিস্তান। তাদের গুলি হয়ত শেষ হয় যাবে। কিন্তু গুলি খাওয়ার জন্য জওয়ানের অভাব পড়বে না।’
দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন জেনারেল কামার। নিয়ন্ত্রণরেখাতেও নাকি কড়া নজর রয়েছে তার।
No comments:
Post a Comment