শরীয়তপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে কয়েকজন যুবক চর মধ্যপাড়ার লিটন শাহর ইটের ভাটায় নিয়ে সারারাত ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রোববার সকালে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন শিশুটির পরিবার। স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পালং থানা সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার পৌর এলাকার চতুর্থ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে চরমধ্যপাড়া গ্রামের নুর হোসেনের বেপারির ছেলে আ. রাজ্জাক (২৪) স্কুলে যাতায়াতের পথে বিরক্ত করতেন। বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে তিনি কুপ্রস্তাব দিতেন। মেয়েটি এতে রাজি হয়নি।
শুক্রবার বিকেল থেকে আ. রাজ্জাক বেপারি মেয়েটিকে নজরে নজরে রাখেন। সন্ধ্যার আগে মেয়েটি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে খেলতে যায়। সেখান থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে মেয়েটিকে একটি অটোবাইকে উঠিয়ে রাজ্জাক ও তার সহযোগী পশ্চিম সোনামুখী গ্রামের কুদ্দুছ খার ছেলে রফিক খাঁ মুখ বেঁধে চরমধ্যপাড়া লিটন শাহর এল আর বি ইটের ভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মেয়েটিকে সারারাত ধর্ষণ করে।
মেয়েটির পরিবার তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাতে কোথাও পাননি। পরদিন সকালে লিটন শাহর ইটের ভাটায় গিয়ে তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। মেয়েটি তার মায়ের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলে। এ সময় স্থানীয় লোকজন আ. রাজ্জাক বেপারিকে আটক করে পালং মডেল থানায় খবর দেয়।
আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক উৎপল কুমার ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজ্জাককে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে রাজ্জাক ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ রফিক খাঁকেও আটক করা হয়।
আংগারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক উৎপল বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার ২ জনকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment