Social Icons

Monday, July 17, 2017

কাতারি গণমাধ্যম আমরা হ্যাক করিনি: আরব আমিরাত


গত মে মাসে কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থায় হ্যাকিং করাতে জড়িত থাকার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে সংযুক্ত আরব অমিরাত। এর আগে কাতারের আমিরকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদ সংস্থা বিভিন্ন উত্তেজক কথাবার্তা পোস্ট করেছিল - কিন্তু পরে আমির দাবি করেন তার মুখে বসানো কথাগুলো সবই সাজানো।
 
এখন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে ওই পোস্টিংয়ের পেছনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাত ছিল। ওই ঘটনার পরই কাতার ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সংঘাত চরমে ওঠে। তবে আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ সোমবার বিবিসি-কে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন পোস্টের ওই রিপোর্ট মোটেই 'সত্যি নয়'।
 
এমন কী কাতারের কাছ থেকে যাতে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়, সেই দাবি জানিয়ে আমিরাত ও আরও পাঁচটি আরব দেশ ফিফার কাছে কোনও চিঠি লেখেনি বলেও তিনি জানান। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে অজ্ঞাতনামা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সদ্য পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে গত ২৩ মে আমিরাত সরকারের সিনিয়র সদস্যরা কাতারের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থার সাইটগুলো হ্যাক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
 
পরে ওই সাইটে কাতারের আমিরকে উদ্ধৃত করে ইরানে প্রতি আমেরিকার 'শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবে'র সমালোচনা করা হয় এবং হামাস-কেও ফিলিস্তিনি জনতার বৈধ প্রতিনিধি বলে বর্ণনা করা হয়। কাতারি কর্মকর্তারা তখনই দাবি করেন তাদের সাইট হ্যাক করা হয়েছে এবং ওই সব মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। তবে ততক্ষণে ওই সব কথাবার্তা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তুলকালাম শুরু হয়ে গেছে।
 
সংযুক্ত আর আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন ও মিশর সঙ্গে সঙ্গে কাতারের মিডিয়াকে ব্লক করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। দুসপ্তাহ পর এই চারটি দেশ জঙ্গিবাদের প্রতি কাতারের কথিত সমর্থন ও ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের প্রতিবাদে কাতারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়।
 
মার্কিন গোয়েন্দারা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন আমিরাত কর্তৃপক্ষ নিজেরাই কাতারি সাইট হ্যাক করেছিল না কি কোনও তৃতীয় পক্ষকে পয়সা দিয়ে সে কাজ করিয়েছিল - তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা গত মাসে রিপোর্ট করেছিল মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের তদন্তে দেখা গেছে ফ্রিল্যান্স রাশিয়ান হ্যাকাররাই না কি এর জন্য দায়ী ছিল। বিবিসি।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates